অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত, প্রধান শাখা লকডাউন

অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত, প্রধান শাখা লকডাউন

অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার এক কর্মকর্তা নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় শাখাটিতে কর্মরত ৬৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির প্রিন্সিপাল শাখা লকডাউন করা হয়েছে। রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ভবনের নিচ তলায় প্রিন্সিপাল শাখা।

করোনা আক্রান্ত কর্মকর্তা শাখাটির রেমিট্যান্স শাখায় কর্মরত ছিলেন। আক্রান্ত কর্মকর্তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। গত রোববার তিনি সর্বশেষ অফিসে যান। এ জন্য ওই দিন শাখাটিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শামস্-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, গত রবিবার ওই কর্মকর্তা কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন। এ জন্য তাকে ছুটি দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তার করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। বুধবার বেলা ১১টায় পরীক্ষার ফলাফল এলে দেখা যায়, তিনি করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আক্রান্ত কর্মকর্তার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল। খুব বেশি জ্বর বা অন্য শারীরিক উপসর্গগুলো দেখা যায়নি। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে আমরা প্রিন্সিপাল শাখা লকডাউন করে দিয়েছি। একই সঙ্গে শাখাটিতে কর্মরত ৬৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্বস্ত একাধিক সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। ঢাকার বনশ্রী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে তিনি বসবাস করেন। তার পিতাও বেসরকারি খাতের মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সম্প্রতি ইতালি থেকে আক্রান্ত ব্যাংক কর্মকর্তার চাচা দেশে আসেন। চাচার কাছ থেকে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।