অনুষ্ঠানের আড়াই ঘন্টা আগে বাল্য বিয়ে ঠেকালেন ইউএনও

বরিশালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে একটি বাল্য বিবাহ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।বিয়ে অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুস্তি সম্পন্ন হয়েছিল। বিয়ে অনুষ্ঠানের আড়াই ঘন্টা আগে ইউএনও উপস্থিত হয়ে বাবা-মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামে অস্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়া
শুক্রবার দুপুর ১২টায় গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কিশোরী ছাত্রীর বাবা তার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেবেন না মুচলেক আদায় করেন।
স্কুল ছাত্রী আঁখি (১৪) ওই গ্রামের মনির হাওলাদারের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে একই গ্রামের হাসেম ঘরামীর ছেলে মাসুম ঘরামীর (২৬) সঙ্গে বিয়ের দিন ধার্য ছিলো।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, অস্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের মাসুম ঘরামী নামের এক ছেলের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছিল স্কুল ছাত্রীর বাবা-মা। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশের একটি দল নিয়ে স্কুল ছাত্রীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। পরে ছাত্রীর বাবার কাছ থেকে মুচলেকা আদায় এবং তাকে সতর্ক করা হয়।