ইয়াসির-আশরাফুলে ফাইনালে পূর্বাঞ্চল

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি উপহার দিলেন ইয়াসির আলী চৌধুরী। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে হাসল মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাট। এই দুইয়ে ভর করে উত্তরাঞ্চলকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালের টিকিট কাটল পূর্বাঞ্চল।
সোমবার তৃতীয় ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচের শেষ দিনে ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় পূর্বাঞ্চল। ২২ ফেব্রুয়ারি আসরের ফাইনালে যারা খেলবে চার বারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে। যে দলটি এদিন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ বাঁচিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।
কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন পূর্বাঞ্চলকে ২১১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় উত্তরাঞ্চল। ৪৪ ওভারের মধ্যে যা করতে হতো। চ্যালেঞ্জিং হলেও ইয়াসির ও আশরাফুলের ব্যাটে তা ৩৪.৫ ওভারেই করে ফেলে পূর্বাঞ্চল। সেটিও মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে।
মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে (১৪০) উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংসে ২৭২ রান করেছিল ম্যাচটিতে। বিপরীতে ইয়াসিরের সেঞ্চুরিতে পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংসে করে ৩৩১ রান। এরপর উত্তরাঞ্চল তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারে ২৬৯ রান।
চতুর্থ ইনিংসে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে ওপেনার পিনাক ঘোষ (১২) ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে আশরাফুল ও ইয়াসির গড়েন ১৭০ রানের জুটি। প্রথম ইনিংসে ১৬৫ রানের ইনিংস খেলা ইয়াসির দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ১১০ রানের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে ডাক পাওয়াটার উপলক্ষটা তিনি রাঙালেন জোড়া সেঞ্চুরিতে।
৭৮ বলে নিজের অষ্টম ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি পূরণ করেন ইয়াসির। শেষ পর্যন্ত তার ৮৮ বলের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ৫ ছক্কা। ইয়াসির ফিরে যাওয়ার পর ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন আশরাফুল। ৮৬ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। হাঁকিয়েছেন ৪টি চার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার ৩৫তম ফিফটি। ইমরুল কায়েস অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে।
জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইয়াসির আলী। তবে আড়ালে চলে যাচ্ছেন তার দলের নাঈম হাসান। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও যিনি নিয়েছেন ৫ উইকেট।