উজিরপুরে চেক প্রতারণায় মামলায় নয় মাসের কারাদন্ড, আসামী পলাতক

উজিরপুরে চেক প্রতারণায় মামলায় নয় মাসের কারাদন্ড, আসামী পলাতক

উজিরপুরের গাজিরপাড় বাসিন্দা মো. মাসুম চেক প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। মুলাদী বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরনের পর সাড়া না পেয়ে বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমন জারি, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও আদালতে হাজির হননি। পরবর্তিতে নুরুল ইসলামকে বিজ্ঞ আদালত নয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সমপরিমান অর্থদন্ড করেন। বর্তমানে আসামী নুরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। 

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মো. মাসুম উজিরপুরের বড়াকোঠা ইউনিয়নের গাজিরপাড় গ্রামের মওলানা আব্দুল কাদেরের ছেলে। তিনি বরিশালের মুলাদীর উত্তর পাতারচরের মৃত রহমান হাওলাদারের ছেলে মো. নুরুল ইসলামকে দুই লক্ষ নব্বই হাজার টাকা ধার দেন। যথাসময়ে নুরুল ইসলামের টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। মাসুম তাঁর পাওনা টাকা চাইলে ও তাগাদা প্রদান করিলে ২০১৮ সালের জুন মাসের ০১ তারিখে ২,৯০,০০০/- (দুই লক্ষ নব্বই হাজার টাকার) চেক প্রদান করেন। মাসুম সে অনুযায়ী ব্যাংকে চেক নগদায়নের জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরের ১৪ তারিখে জমা দেন। ব্যাংক থেকে জানানো হয়, নির্দিষ্ট পরিমান টাকা নুরুল ইসলামের একাউন্টে নাই। তখন মাসুমকে ব্যাংক থেকে ‘ডিজনার ¯িøপ’ দেওয়া হয়।

মাসুম সেই ডিজঅনার ¯িøপ নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আইনজীবী তাঁকে বিবাদী বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে মাসুম বিবাদীর ঠিকানায় ২০১৮ সালের অক্টোবরের ২১ তারিখ নিয়োজিত কৌশুলির মাধ্যমে রেজিষ্ট্রীকৃত ডাকযোগ সহ এন.আই, এ্যাক্টের ১৩৮ ধারা মোতাবেক লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এতে টাকা দেওয়ার জন্য ৩০ দিনের সময় বেঁধে দেন মাসুম। নুরুল ইসলাম লিগ্যাল নোটিশ পেলেও টাকা পরিশোধ করেননি। পরবর্তী সময়ে মাসুম টাকা না পাওয়ায় বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি চেক প্রতারনা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত নুরুল ইসলামের ঠিকানায় সমন জারি করা হয়। কিন্তু নুরুল ইসলাম আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তিতে চলতি বছরের আগষ্টের ৯ তারিখে আদালত তার বিরুদ্ধে ৯ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের সমপরিমান অর্থদন্ড দেন। বর্তমানে নুরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। মো. নুরুল ইসলাম, ইসলাম অয়েল মিলস্’র স্বত্তাধীকারি। যার ঠিকানা পালপাড়া, টলার ঘাট, টরকী বন্দর, গৌরনদী, বরিশাল।