ককপিটে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসে ইতিহাস গড়লেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনদিনের আসাম সফরের শেষ দিন শনিবার রাষ্ট্রপতি আসামের তেজপুর এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে ‘সুখোই-৩০ এমকেআই’ যুদ্ধবিমানে সওয়ারি হন।
পদাধিকার বলে রাষ্ট্রপতি হলেন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তেজপুরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটির পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। এরপর দুই আসনবিশিষ্ট ‘সুখোই-৩০-এমকেআই-র’ প্রশিক্ষণ বিমানের ককপিটে বসেন তিনি। তার পরনে ছিল পাইলটের পোশাক। প্রায় আধঘণ্টা মাঝ আকাশে ছিলেন রাষ্ট্রপতি। এসময় নানা কসরত দেখায় বিমানটি।
এরপর নিরাপদে বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন রাষ্ট্রপতি। ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সাথেই ককপিটে ছিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর ১০৬ স্কোয়াডের কমান্ডার গ্রুপ ক্যাপ্টেন নবীন কুমার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উঁচুতে এই যুদ্ধ বিমানটি চালানো হয়, ঘণ্টায় এর গতিবেগ ছিল প্রায় ৮০০ কিলোমিটার।
এদিন ককপিটে প্রবেশ করার আগে ফাইটার পাইলটদের সঙ্গে গ্রুপ ফটো তোলেন রাষ্ট্রপতি।
তেজপুর ঘাঁটির পরিদর্শক খাতায় রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘এমন উড়ানের ব্যবস্থা করার জন্য আমি তেজপুরের বিমান ঘাঁটির সব সেনা কর্মকর্তাকে অভিনন্দন জানাই।’
সুখোই সফরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতির অফিসিয়াল টুইটারে লেখা হয়েছে, ‘ভারতীয় বায়ু বিমানবাহিনীর শক্তিশালী সুখই-৩০-এমকেআই যুদ্ধবিমানে ওড়া এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এটা গর্বের বিষয় যে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষমতা আজ পানি, স্থল ও আকাশে সুদৃঢ়ভাবে প্রসারিত।’
দ্রৌপদী মুর্মু হলেন দেশটির তৃতীয় রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতি, যিনি এমন বিমান চালালেন। এর আগে ২০০৯ সালে পুনেতে ঐতিহাসিক ফ্লাইট করেছিলেন প্রতিভা পাতিল।