কুয়াকাটায় কাঠের পুল ভেঙ্গে দূর্ভোগে তিন ইউনিয়নের মানুষ

কুয়াকাটায় কাঠের পুল ভেঙ্গে দূর্ভোগে তিন ইউনিয়নের মানুষ

কুয়াকাটার অদূরে মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ও চরপাড়ার ভাড়ানির খালের উপর নির্মিত কাঠের পুল ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চলাফেরায় ভোগান্তি।

গত সোমবার (৬ জুলাই) বিকেলে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের ধাক্কায় ওই পুলটি ভেঙ্গে পড়ে যায়।

ওই কাঠের পুল দিয়ে ডালবুগঞ্জ, মিঠাগঞ্জ ও মহিপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তিনটি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন। ঝুঁকি নিয়ে ছোট্র ডিঙি নৌকায় চলাফেরা করছে নারী, বয়বৃদ্ধসহ হাজারো মানুষ। স্থানীয়দের দাবী ভেঙ্গে যাওয়া কাঠের পুলটি অপসারন করে একটি স্থায়ী গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের। 

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাচ্চু ভোরের আলোকে বলেন, (৬ জুলাই) সোমবার বিকেলে একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের ধাক্কায় ব্রীজটি ধুমরে মুচড়ে পরে যায়। এমন ভাবে ভেঙ্গে পরে যায় যা সংস্কার করা সম্ভব নয়। ভাড়ানির খাল সংলগ্ন রসুলপুর গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই কাঠের পুল দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া আসা করত। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে ব্রীজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। অন্যথায় কোমল মতি শিশুরা ব্রীজ না থাকায় পড়বেন বিপাকে। ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। চরম দূর্ভোগে তিন ইউনিয়নের মানুষ। 

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সিকদার ভোরের আলোকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি এই কাঠের পুল দিয়ে ডালবুগঞ্জ, মহিপুর ও মিঠাগঞ্জ এ তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগণ আসা যাওয়া করে  প্রতিনিয়ত। তাই এখানে একটি গার্ডার ব্রীজ একান্ত প্রয়োজন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি ওখানে এলজিইডি অথবা পিআইও অফিসের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ব্রীজের ব্যাবস্থা করতে হবে।