ক্যাসিনো ব্রাদার্স এনু ও রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

ক্যাসিনো ব্রাদার্স এনু ও রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির অভিযোগে আলোচিত এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়াকে অর্থপাচারের মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। একই মামলায় আরও ৭ জনকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মাসুদ পারভেজ এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিতদের মধ্যে এনামুল হক এনু রাজধানীর গেন্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং রূপন ভূঁইয়া সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

৪ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন:

  1. শহিদুল হক ভূঁইয়া (এনু ও রূপনের ভাই)
  2. রাশিদুল হক ভূঁইয়া (এনু ও রূপনের ভাই)
  3. মেরাজুল হক ভূঁইয়া (এনু ও রূপনের ভাই)
  4. জয় গোপাল সরকার (মতিঝিল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক)
  5. তুহিন মুন্সী
  6. নবীর হোসেন সিকদার
  7. সাইফুল ইসলাম

রায়ে বিচারক এনু ও রূপনকে ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্য ৭ জনকে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাসিনো, বার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে এনামুল ও রূপন আত্মগোপনে চলে যান। ২৪ সেপ্টেম্বর র‍্যাব সূত্রাপুরের বানিয়ানগরে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি লোহার সিন্দুক থেকে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা এবং ৫ হাজার ১৬৩ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার (মূল্য ২ কোটি ৫ লাখ টাকা) জব্দ করে।

এই ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় অর্থপাচার মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে সিআইডি ২০২০ সালের ২১ জুলাই এনু, রূপনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এনু ও রূপন ইতিমধ্যে আরও দুটি অর্থপাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।

  1. ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ওয়ারী থানায় দায়ের করা এক মামলায় ৭ বছরের সাজা।
  2. ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর ৫ কোটি টাকা পাচারের আরেক মামলায় ৭ বছরের সাজা।

সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে, এনু ও রূপনের

  • ঢাকায় ১২১টি ফ্ল্যাট ও প্লট রয়েছে।
  • ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি টাকা জমা আছে।

রাষ্ট্রপক্ষের ১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও পর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।