গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান: আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ

গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান: আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ আমরা পেতাম তা। সেই বঙ্গবন্ধুকে ওরা স্বপরিবারে হত্যা করেছে তারা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে ওরা। যাদের জন্মই খুন রাহাজানির মধ্যদিতে তারা ইদানীং গনতন্ত্রের কথা বলছে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের কথা বলছে। কিন্তু এই গনতন্ত্র হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। তা সবাই জানে। 

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধন শেষে একথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক নিরীক্ষণ কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। এসময় তিনি দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। 

তিনি আরও বলেন, রাতের আধারে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান। ওদিন রাতে আমার বাবাকেও হত্যা করে ওরা। আমার ছোট্ট সন্তান সুকান্ত কে হত্যা করেছে ওরা। তখন আমরা মাললাও করতে পারিনি। এর দীর্ঘ বছর পর জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরেই বঙ্গবন্ধু ও বাবা হত্যার বিচার পেয়েছি। দেশ আজ কলঙ্কমুক্ত। তবুও বিএনপি বলছেন দেশে বিচার নেই। বহু হত্যাকান্ডের বিচার এই সরকারের আমলে হয়েছে, এমন অনেক নজির রয়েছে।

আবুল হাসনাত আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার শুধু পদ্মাসেতুই করেই থেমে থাকেননি৷ এই দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা। এ সরকারের আমলে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা সড়কে তিনটি সেতু,  লেবুখালীতে শেখ হাসিনা সেনা নিবাস, বরিশাল সিটি করপোরেশন, পায়রা সমুদ্র বন্দর,  বরগুনার বহুল প্রতীক্ষিত ২৫০ সয্যার হাসপাতালসহ অসংখ্য উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই। 

প্রসঙ্গত দীর্ঘ আট বছর পর বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বরগুনা সার্কিট হাউজ ইদগাহ মাঠে বেলা ১১ টায়  এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক নিরীক্ষন কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাসিম।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান, গোলাম রব্বানী চিনু। এ বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।