গ্যাস সংকটে পূর্বাঞ্চল

গ্যাস সংকটে  পূর্বাঞ্চল
ফটোঃ রিপন

বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) আওতাধীন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। গতকাল চাহিদার অর্ধেক গ্যাসও পাওয়া যায়নি। এসব জেলায় ৪ লাখ ৮৮ হাজার ২৮টি গৃহস্থালি গ্যাসের সংযোগ আছে। এ ছাড়া ৯১টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন, ৫৭৫টি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প, ১ হাজার ৫৬৩টি হোটেল রেস্তোরাঁ, ৮১টি ক্যাপটিভ পাওয়ার, ১৮৪টি শিল্প কারখানা, একটি সার কারখানা ও ১৪টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল থেকে বর্তমানে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিজিডিসিএলে দেওয়া হচ্ছে। বাকি গ্যাস জাতীয় গ্রিড থেকে পায় সংস্থাটি। টার্মিনাল থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় গ্রিডের পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকার কারণে গ্যাস-সংকট তীব্র হয়।

কুমিল্লা নগরের পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌস জাহান বলেন, প্রতিবছর শীত এলেই কুমিল্লায় গ্যাস-সংকট দেখা দেয়। গতকাল একেবারেই ছিল না।

অন্যদিকে বিজিডিসিএল নোয়াখালী কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, নোয়াখালীর দুটি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জের সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে বেগমগঞ্জের কাজিরহাট গ্যাসক্ষেত্র থেকে জেলায় গ্যাসের সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু শীত মৌসুমে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় গ্যাসের সংকট চলছে।