জিয়া-এরশাদের ভোটারহীন নির্বাচনের ঐতিহ্যও এখন ম্লান

স্থানীয় সরকারসহ দেশের সার্বিক নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
শনিবার দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে এই ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দলের সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা হয়। পরে নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রস্তাবনা উত্থাপন করলে তা গ্রহণ করা হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি ক্রমাবনতিতে বিশেষত সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনসমূহে বিরোধী দল, এমনকি ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জোটভুক্ত দলসমূহের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অসম্ভব করে তোলা হয়েছে। নির্বাচনে রাষ্ট্রযন্ত্রের হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ এখন আর গোপন নয় প্রকাশ্য।’
এতে আরও বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) তা পরিপূর্ণ জ্ঞাত থাকার পরও সে সম্পর্কে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। জিয়া-এরশাদ আমলের হোন্ডা-গুন্ডা ভোটারহীন নির্বাচনের ঐতিহ্যও এখন ম্লান হয়ে গেছে।’
প্রস্তাবে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, “আগামী ইউপি নির্বাচনেও যদি এর পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহলে দেশের মানুষ নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে পরিপূর্ণ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। এখন যেমন রাউজান ফেনীসহ কয়েকটি অঞ্চলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার অর্থই ‘নির্বাচন’ হয়ে যাওয়া, তারই বিস্তৃতি ঘটবে সারা দেশে।”
এতে বলা হয়, ‘ইভিএমে কারচুপির সুযোগ রাখার জন্যই ইসি নির্বাচন পরবর্তীকালে ভোটের ফলাফল নিরীক্ষার জন্য ভোটার ভেরিফায়াবেল পেপার অডিট ট্রেইল (ভিভিএটি) রাখার কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি সুপারিশকেও উপেক্ষা করেছিল।’
ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে ইসি সম্পর্কে আর্থিক অনিয়ম লুটপাট ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনৈতিক আচরণের সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে দেখা ও ইসিকে যথাযোগ্য আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় দলটির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন আনিসুর রহমান মল্লিক, সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, জোবায়দা পারভীন, মোস্তফা আলমগীর রতন ও ইন্দ্রনী সেন শম্পা।