দীর্ঘদিন পরে পুঁজিবাজার চলছে ফুরফুরে মেজাজে

দীর্ঘদিন পর দেশের পুঁজিবাজার চলছে ফুরফুরে মেজাজে। মহামারী শুরুর পর গত জুনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স যেখানে ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গিয়েছিল, গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তা পৌঁছেছে ৪ হাজার ৯০০ পয়েন্টের কাছাকাছি।
জুন মাসেই এক পর্যায়ে লেনদেন নেমে গিয়েছিল ৫০ কোটির ঘরে; সেই দশা কাটিয়ে গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮২৮ কোটি টাকার বেশি।
ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য রেগুলেটরের মধ্যে একটা সমন্বয় করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। ফলে এখন আর আগের মতো বাধা আসছে না। আগে মাঝে মাঝে এমন সব নীতি হয়ে যেত, যা পুঁজিবাজারকে বাধাগ্রস্ত করত।
২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তারল্য সঙ্কট দেখা দেয়ার পর ঋণ-আমানত (এডি) অনুপাত কমিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ক্ষমতা কমে যায়, সুদের হার যায় বেড়ে। তখন থেকে পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। সেই সঙ্কট কাটাতে না পেরে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেওয়া হয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য।
এর মধ্যে পতন থামাতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম বদলে ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়। তাতে পত ঠেকানো গেলেও বিনিয়োগে দেখা দেয় খরা। সব মিলিয়ে ২০১৮ সালের শুরু থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক প্রায় ২০০০ পয়েন্ট হারায়।
জুলাই মাসের শেষে দিকেই ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বাজার। এর মধ্যে গত ১০ সপ্তাহেই ডিএসইর প্রধান সূচকে যোগ হয়েছে ৯০০ পয়েন্টের বেশি।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসাইন বলেন, বাজার অনেক পড়ে যাওয়ায় শেয়ারের দামও অনেক কমে গিয়েছিল। বাজারে আসার জন্য এটা ছিল ভালো সময়। সেই সুযোগটাই বিনিয়োগকারীরা নিয়েছেন। বাজারে মানুষের ‘আস্থা’ও ফিরতে শুরু করেছে।
ভোরের আলো/ভিঅ/২৯/২০২০