দ্বিগুণ হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা

দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণ করা হচ্ছে। কয়লাভিত্তিক এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। কেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট করতে চলছে দ্বিতীয় ফেজের কাজ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ফেজের নির্মাণ কাজের ২১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ফেজ চালু হলে এখান থেকে ২ হাজার ৬৪০ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এতে করে দেশের বিদ্যুৎ সংকট দূর হবে।
দ্বিতীয় ফেজ চালু হলে বাড়বে কয়লার জাহাজের চাপ। তাই ইতোমধ্যে সম্প্রসারণ করা হয়েছে জেটি।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্বাবাধায়ক প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান জানান, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয় ২০২২ সালে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ ভাগ পূরণ হয়। দ্বিতীয় ফেজের কাজ শেষ হলে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়বে আরও ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। মোট ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে তখন দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ২০ ভাগই পূরণ হবে এখান থেকে। এ কারণে দেশের বিদ্যুৎ সংকট অনেকটাই লাগব হবে।
চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০১৬ সালে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের অদূরে নির্মিত হয় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এরপর ২০২০ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।