ফিল্মি স্টাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে পেটালেন আ.লীগ নেতা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-১ আসনের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হন সাতজন। নৌকা প্রতীক পেয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নির্বাচনে অংশ নেন। ট্রাক প্রতীক নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল। নির্বাচনে ১ লাখ ৯ হাজার ভোট পেয়ে বিজয় হয় নৌকা প্রতীকের আ ক ম মোজাম্মেল হক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পান ৯২ হাজার ৭শ ৮৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী পরাজয়ের পরপরই বিভিন্ন ওয়ার্ড মহল্লায় তার নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার আ.লীগ কার্যালয়ের ভেতরে ফিল্মি স্টাইলে এ পেটানোর ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল।
জানা গেছে, রতনপুর এলাকায় গত কয়েক বছর ধরেই উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেলের অফিস রয়েছে। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে অফিসে বসে আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সদস্য শামসুল ইসলাম মিলন, মনির, বাদশাসহ আরও অনেকে আলাপ আলোচনা করছিলেন। হঠাৎ করে অফিসের ভেতরে মৌচাক ইউনিয়নের আ.লীগ সদস্য ফরহাদ সিকদার হাতে লোহার পাইপ নিয়ে প্রবেশ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালায়, যা ফিল্মকেও হার মানিয়েছে। আর এ নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়েও পড়েছে।
উপজেলা মৌচাক ইউনিয়ন আ.লীগ সদস্য ফরহাদ শিকদার জানান, মারামারির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। আমাদের মন্ত্রী ভালো লোক। আমার ইউনিয়নে আমি শান্তি চাই।
নির্যাতনের শিকার আনোয়ার বলেন, ট্রাকের নির্বাচন করেছি বলেই লাঠি দিয়ে আমাকে আঘাত করা হয়েছে। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয় আমাকে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল জানান, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় আমার নেতাকর্মীদের নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম জানান, মারামারির ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।