বরগুনায় ধর্ষণ মামলায় র্যাব সদস্য জেল হাজতে

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে র্যাব সদস্যকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।
র্যাব সদস্য হল, বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার পশ্চিম রতনপুর গ্রামের মোতালেব মাস্টারের ছেলে মো: হুমায়ূন কবির হিমু। তিনি র্যাব-১ এ কর্মরত আছেন।
জানা যায়, ওই র্যাব সদস্য বরগুনা জেলার বামনা থানায় ২০১১ সালে এসআই পদে চাকরী করতেন। ওই সময় ঘোপখালী গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয়। যুবতীর বাড়ীতে হিমু বিভিন্ন সময় যাতায়াত করত। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হিমু যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বামনা থানা থেকে বদলি হয়ে র্যাব-১ কোম্পানীতে যোগদান করার পরেও হিমু ছুটি নিয়ে বামনা আসতেন। সর্ব শেষ ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হিমু যুবতীর বাড়ীতে এসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তিতে র্যাব কর্মকর্তা যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
যুবতীর বাবা হযরত আলী বলেন, বামনা থানার দারোগা আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছে। আমিও তাকে জামাইর মত বুঝতাম। বামনা থেকে বদলি হয়ে ঢাকা র্যাব অফিসে যোগদান করেও আমাদের বাড়ী আসত। হিমু আমার মেয়ের জীবনটা শেষ করে দিয়েছে। আমি ও আমার মেয়ে হিমুকে অনেক সময় দিয়েছি। হিমু এখন আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চায় না। হিমু বলে আমার স্ত্রী আছে।
হিমু কোর্ট প্রাঙ্গনে বসে বলেন, আমার বিরুদ্ধে বাদী মিথ্যা মামলা করেছে। বাদীর মেয়েকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমি রাজি না হওয়ায় মামলা করেছে।
রাস্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলাটি তদন্ত করেছেন বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সত্য মর্মে রিপোর্ট দিয়েছেন।