বরিশালের টানা পঞ্চম জয়

বরিশালের টানা পঞ্চম জয়

ইফতিখার আহমেদ ও সাকিব আল হাসানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল ফরচুন বরিশাল। সেই রান তাড়া করতে নেমে ঢাকা ডমিনেটর্স অধিনায়ক নাসির হোসেন দারুণ এক ইনিংস উপহার দিলেন। তবে তার অপরাজিত ফিফটির পরও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল বরিশাল। আসরে যা দলটির টানা পাঁচ জয়।

বিপিএলে শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩ রানের জয় তুলে নেয় বরিশাল। ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঢাকা করতে পারে ৪ উইকেটে ১৬০ রান।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে মিঠুন ও নাসির মিলে ৬০ বলে ৮৯ রান যোগ করেন। ফলে একটা সময় পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই ম্যাচে ছিল ঢাকা। ১২ বলে ৩১ রানের সমীকরণ ছিল ঢাকার সামনে। তবে ১৯তম ওভারে মিঠুনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ঢাকাও আর পেরে ওঠেনি।

নাসির ৩৬ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে যান। ৩ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান। মিঠুন ৩৮ বলে ৪৭ রান করেন ২ চার ও ৩ ছক্কায়। এ ছাড়া উসমান গনি ১৯ বলে ৩০, সৌম্য সরকার ১৫ বলে ১৬ রান করেন।

বরিশালের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম, চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও করিম জানাত।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৩ রানের পুঁজি গড়ে ফরচুন বরিশাল। আগের ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি উপহার দেওয়া ইফতিখার ৩৪ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেছেন। ৫ চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ২ ছক্কা। মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ৩১ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করেন ৫৭ বলে ৮৪ রান। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৭ বলে ৩০ রান করেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়।

দলীয় ১৭ রানেই দুই ওপেনার সাইফ হাসান (১০) ও এনামুল হক বিজয় (৬) ফিরে যান। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা ২৭ রানের জুটি গড়েন। দুজনকেই ফেরান নাসির হোসেন।

মিরাজ ১৪ বলে ১৭ ও ডি সিলভা ১০ বলে ১০ রান করেন। মিরাজের সঙ্গে সাকিবের আরেকটি ১৯ রানের জুটি হয়। ইফতিখার-সাকিব পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ২৬ রান। এরপর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দুর্দান্ত জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন ইফতিখার। ২ উইকেট নিয়ে ঢাকার পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার নাসির। ম্যাচসেরা হয়েছেন বরিশালের ইফতিখার আহমেদ।

৬ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে বরিশাল। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স।