বরিশালের ৪ জেলা অতি মাত্রার ঝুঁকিতে

করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) বিস্তার রোধে আজ সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ সাপ্তাহিক (২১ থেকে ২৭ জুন) প্রতিবেদন অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের চার জেলা ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল অতি মাত্রার ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়া বরিশালের ৪ জেলা বাদে উচ্চ ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের আরো ৮টি জেলা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪০টি জেলাই করোনার অতি উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। আর এক সপ্তাহের ব্যবধানে সারাদেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৫০ ভাগ। উচ্চ ঝুঁকির এই তালিকায় আছে দেশের প্রতিটি বিভাগই। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় (৩০ জুন) শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে ২৫ শতাংশের ওপরে।
গতকাল বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে ২১ শর্তের কঠোর বিধি নিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত বাহিরে চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ ম-ল ভোরের আলোকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ আগের থেকে কয়েক গুন বেড়েছে। সকল জেলা স্বস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের সেবারমান আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। আমরা দিন দিন নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বাত্মক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সকলকে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নিতে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। সরকার জনসাধারনকে সচেতনামূলক বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া সংক্রমণ নি¤œমুখী নিয়ে আসতে সরকার আবারও কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। এখন আমাদের উচিৎ সরকারকে বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে সাহায্য করা। যাতে কোভিড আক্রান্ত সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসে। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বেনজির আহমেদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকারের সর্বাত্মক লকডাউনের কোনও বিকল্প নেই। তাছাড়া সামনে কোরবানি আছে। সব মিলিয়ে এখন কঠিন একটা অবস্থা। আর এবারের সংক্রমণ একদম ভিন্ন। আগের সংক্রমণ ছিল মূলত জেলা শহরগুলোতে, এখন সেটা গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে গেছে। কাজেই লকডাউন দিয়ে এটা ঠেকানো খুব কঠিন কাজ। আমরা যদি এই রোগীগুলোকে আগেই আইসোলেসনে নিতে পারতাম, তাহলে কিন্তু লকডাউন ছাড়াও সংক্রমণ কমানো যেতো। এই পন্থা একটু কষ্টকর বলেই করা যাচ্ছে না। তাই সহজ কাজ হিসেবে লকডাউন দিতে হচ্ছে।’