বরিশালে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা, মালিককে কারাদণ্ড

বরিশালে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা, মালিককে কারাদণ্ড

বরিশালে সার্টিফাইড টেকনোলজিস্ট বিহীন ল্যাবে মেয়াদউত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার করে মনগড়া রিপোর্ট তৈরি এবং ডাক্তারের ভূয়া সাক্ষর ব্যবহার করে প্যাথলজি রিপোর্ট দেওয়ার অপরাধে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়েছে। ওই অপরাধে ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের মালিককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়েছে। ৩ বছর ধরে লাইসেন্স নবায়নবিহীনভাবে দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালিয়ে আসছিল। 

আজ শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালিত হয়।

জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানাগেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল নগরের আগরপুর রোড এলাকায় দি মুন মেডিকেল সার্ভিসেস নামক একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত দেখতে পান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট মো. মুজিবুর রহমান ও ডা. জাকির হোসেন খন্দকারের স্বাক্ষরে রোগীদের প্যাথলজি রিপোর্ট দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পরে অভিযানিক দল খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন, ওই চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট কেউই আজকে এ ক্লিনিকে আসেননি। ফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মুন মেডিকেল সার্ভিসেস এর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা ও এ ধরণের স্বাক্ষর দানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে মালিকপক্ষকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা কোন জবাব না দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার করে ল্যাবে বিভিন্ন মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করা, বাস্তবে কোন সার্টিফাইড টেকনোলোজিস্টই না থাকা, এমনকি কোন পরীক্ষা না করার বিষয়টিও অভিযানিক দলের সামনে আসে। পাশাপাশি ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির লাইসেন্সের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হলেও নতুন করে নবায়ন না করা এবং নবায়ন করার জন্য আবেদন করার বিষয়টিও সামনে আসে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ১৩(২) ধারায় দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস এর মালিকপক্ষের মো. হোসেন শাহীন ও শ্যামল মজুমদারকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। পাশাপাশি তাদের সহযোগী ইব্রাহিম রানা এবং শ্যাম সাহাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। এছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অভিযানে প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মুন্সী মুবিনুল হক। ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জনস্বার্থ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান।