বরিশালে এসেছে করোনা সনাক্তকরণ মেশিন

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) করোনা ভাইরাস পরীক্ষার পলিমারি চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন এসেছে। মেশিনটি স্থাপন করা হবে মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানিয়েছেন আগামী সপ্তাহে শুরু হবে করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা। এতে খুশি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
গতকাল সোমবার সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিন পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার আইইডিসিআর থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসে মেশিনটি মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে স্থাপন করবে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক এবং সরকারি পর্যায়ে জোড়ালো উদ্যোগের পর বরিশালে করোনা ভাইরাস সনক্তকরণ মেশিন এসেছে। মেশিনটি স্থাপন করা হয়ে গেলে বরিশালে করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের উপসর্গ ঢাকায় আইইডিসিআরকে পাঠাতে হবে না। স্থানীয়ভাবেই করোনা সনাক্তকরা সম্ভব হবে। এতে চিকিৎসকদেরও চিকিৎসা সেবা দিতে সুবিধা হবে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার আইইডিসিআর বিশেষজ্ঞরা এসে মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে পিসিআর মেশিনটি স্থাপনের কাজ শুরু করবে। মেশিনটি স্থাপন করতে ৭-৮ দিন সময় লাগবে। এরপর বিসিএল-২ লেভেল ঠিক করে করোনা পরীক্ষার কাজ শুরু করবে। বরিশালে বহুল প্রততিক্ষিত বিসিএল মেশিন দেয়ায় সরকার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এদিকে গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে ৫জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গতকাল বিকেল পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের প্রবাস ফেরত ২ হাজার ৮২৪জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া কোয়ারেন্টাইন শেষে বিদেশ ফেরত ১ হাজার ৫১৪জনকে মুক্ত করা হয়েছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫জন এবং ভোলা সদর হাসপাতালে করোনা সন্দেহে ১জনসহ বিভাগের মোট ৬জনকে করোনা সন্দেহে আইসল্যুশনে রাখা হয়েছে।