বরিশালে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না ৬৯ হাজার ৪৮৫ জন

বরিশালে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া সাধারণ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। টিকা না আসায় বরিশাল বিভাগের ৬৯ হাজার ৪৮৫ জন মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজের সময় হলেও মুঠোফোনে সরকারীভাবে ক্ষুদে বার্তা পাচ্ছেন না তারা। দ্বিতীয় ডোজের খোঁজখবর নিতে সরকারি টিকা কেন্দ্রে গিয়ে কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়েছেন তারা। কবে কখন দ্বিতীয় ডোজ পাবেন বা আদৌ পাবেন কিনা তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় সাধারণ টিকা গ্রহীতারা।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে ভীড় করেন অনেকে। তারা সেখানে গিয়ে টিকা কেন্দ্রের কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। এদিকে প্রথম ডোজ নেয়া প্রবাসীরা দ্বিতীয় ডোজ ও প্রত্যয়ন না পাওয়ায় বিদেশে যেতে পারছেন না। তারা দ্বিতীয় ডোজ পেতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করেছেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা এবং বরিশাল সিটি করপোরশেন এলাকায় করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৩০৩জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৮জন। সে হিসেবে প্রথম ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি ৮৩ হাজার ১৩৫ জন মানুষ। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে মজুদ থাকা ১ হাজার ৩৬৫টি ভায়েল দিয়ে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে ১৩ হাজার ৬৫০জন মানুষকে। সে হিসেবে প্রথম ডোজ নেয়া ৬৯ হাজার ৪৮৫ জন মানুষ দ্বিতীয় ডোজ বঞ্চিত হবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত টিকার।
হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে আগতরা জানান, নির্ধারিত ২ মাস সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ক্ষুদে বার্তা পাননি। গত বৃহস্পতিবার জেনারেল হাসপাতালে খোঁজ নিতে গিয়েও টিকা কেন্দ্রে কাউকে পাননি তারা। কবে কিভাবে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন, কিংবা আদৌ নিতে পারবেন কিনা তাও জানতে পারছেন না তারা। আগামী দিনে যাদের টিকার দ্বিতীয় ডোজের দিন নির্ধারিত আছে তারাও জানেন না পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে।
অন্যদিকে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে না পেরে সব চেয়ে বিপদে পড়েছেন বিদেশগামীরা। সময় মতো টিকার দ্বিতীয় ডোজ না পেয়ে বিদেশযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, টিকা সংকটের কারণে বরিশাল নগরীর ৩টি টিকা কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত টিকার দ্বিতীয় এবং প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ থাকবে।
বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, করোনা টিকা দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সারা দেশে একই অবস্থা বিরাজ করছে। বরিশাল বিভাগে করোনা টিকার ১ হাজার ৩৬৫টি ভায়েল মজুদ রয়েছে। এই ভায়েল দিয়ে ১৩ হাজার ৬৫০জন মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।