বরিশালে চিকিৎসক সুদীপ হালদারের আকুতি

করোনায় বরিশাল দিন দিন ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।এই ঝুঁকির অন্যতম কারণ হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যথেচ্ছারভাবে মানুষের চলাচল।বরিশালকে অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় এর চিকিৎসক সুদীপ হালদারের ফেসবুক থেকে পাওয়া।
আকুতি এবং করজোড়ে মিনতি,
প্রিয় বরিশালবাসী,
অতীব শঙ্কার সহিত বলিতেছি...বরিশাল বিভাগের একমাত্র করোনা চিকিৎসাকেন্দ্রের কোন ICU BED... খালি নাই।
টোটাল রুগী হঠাৎ করেই ১৪ থেকে বেড়ে ৯০ জন।এইবারে বরিশালে আক্রান্তের হার অনেক বেশী।
যৌবনের উদ্দামে কেউই মাস্ক পরছেন না...কিন্তু এইবার ২১ থেকে ৪০... এ আক্রান্তের হার অনেক বেশী। যার যায় সে বোঝে।
নিজের অবহেলায় নিজের অথবা পরিবারের কারও মৃত্যুই কাম্য নয়।টিকা নিয়ে কেউ আত্মতুষ্টিতে ভুগবেন না।
২য় ডোজ দেয়ার ২ সপ্তাহ পরে হয়ত কিছুটা সাপোর্ট পেতে পারেন।
টিকা নেয়ার পরেও আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়।আমাদের যে দুইজন স্যার করোনা আক্রান্ত রুগীদের
সবথেকে বেশি সেবা দিয়েছেন...Dr Masum Ahmed sir.. Covid positive. অন্যজন Dr F R khan ভাই অসুস্হ।
বিগত পরিচালক শ্রদ্ধেয় ডা. বাকীর হোসেন স্যারের সময়.. বরিশালবাসীর উপহারস্বরূপ দেয়া লজিষ্টিক সাপোর্ট, সরকারিভাবে পাওয়া যন্ত্রপাতি রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে প্রায়ই অকেজো।চরম চিকিৎসক সংকট....প্রেষনে যারা এসেছিল সবাই চলে গিয়েছেন।ICU specialist নাই।
চতুর্থশ্রেনীর জনবল সংকট,স্বাভাবিকভাবেই পরিবেশ নোংরা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ১৮ দফা মেনে চলুন।
বর্তমান অধ্যক্ষ Prof Dr Moniruzzaman Shahin sir
এবং পরিচালক Dr Abdur Razzaq sir সহকারী পরিচালক Dr Moniruzzaman sir... এর নেতৃত্বে
ইতিমধ্যে করনীয় নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে।কিন্তু এত কম জনবল নিয়ে, এত রুগীর চাপ সামলানো অসম্ভব।
দয়া করে বিত্তবানরা এগিয়ে আসুন,সাংবাদিক ভাইদের অবদান অনস্বীকার্য।
পুলিশ প্রশাসন,,, আসুন সবাই আবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জাতির ক্রান্তিলগ্নে ঝাঁপিয়ে পরি।
ভেন্টিলেটর এর থেকে মাস্ক উত্তম,ICU এর থেকে বাসা উত্তম।
ডা,সুদীপ হালদার, প্রেসিডেন্ট,ইনডোর ডক্টর এসোসিয়েশন, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বরিশাল।