বরিশালে ছিনতাইয়ের দায়ে এক ব্যক্তির সাড়ে ৩ বছর কারাদন্ড

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে হাতকড়া পড়িয়ে মাইক্রোবাসে তুলে ছিনতাই করার দায়ে মো. ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে সাড়ে ৩ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টি এম মুসা আসামীর উপস্থিতিতে এই দ- দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফারুক হোসেন ওরফে রুহুল আমিন ঝালকাঠি জেলার সেওতা এলাকার মৃত সুলতান হাওলাদারের ছেলে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি সদর উপজেলার কড়াপুর এলাকার বাসিন্দা গাছ ব্যবসায়ী হেমায়েত ইসলাম বাদশা নগরীর বগুড়া রোডের ইসলামি ব্যাংক থেকে দেড় লাখ টাকার উত্তোলন করে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলো আরও ৬৩ হাজার টাকা। মোটরসাইকেল যোগে নগরীর সামসু মিয়ার গ্যারেজ এলাকা অতিক্রমকালে একটি মাইক্রোবাস তার গতি রোধ করে। এ সময় এক ব্যক্তি নিজেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে বাদশার হাতে হাতকড়া পড়িয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে গাড়ীর মধ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে সঙ্গে থাকা ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় বাদশা কান্নাকাটি করলে তাকে রহমতপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় থাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করায়। এ ঘটনায় ওই দিনই কোতয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন বাদশা। কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. হেলালুজ্জামান একই বছরের ২৮ এপ্রিল ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ট্রাইব্যুনালে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ছিনতাইয়ের অবিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দন্ডবিধির ৭০ ধারায় মো. ফারুককে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদ-, ৩৬৩ ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদ- সহ দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস কারাদ- এবং ৩৭৯ ধারায় ১ বছর সশ্রম কারাদ-সহ দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। দন্ড ঘোষণার পর আসামী ফারুককে পুলিশ প্রহরায় কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।