বরিশালে থেকে সর্বত্র ট্রাক যাত্রা

করোনা সংক্রমন রোধে সরকার সীমিত পরিসরে লকডাউন চলছে। পন্যসামগ্রি ও জরুরি কাজে নিয়োজিত বাহন চলাচল করে যাচ্ছে।বরিশাল থেকে সারাদেশের সাথে লঞ্চ, বাসসহ সকল যান চলাচল বন্ধ আছে।এ কারনে যাত্রীরা গন্তব্যে ছুটছে মানুষ । বরিশাল থেকে বিভিন্ন স্থানে পন্যবাহীট্রাকই যেন ভরসা।
গতকাল (৩০ জুন বুধবার) বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় সকাল থেকেই পন্যবাহী ট্রাকে করে যাত্রী পরিবহনের চিত্র দেখা যায়।
বেশির ভাগই পিকআপ ও ট্রাকে করে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। এসব গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাত্রীরা চলাচল করছে। তবে এসব গাড়িতে নিন্ম শ্রেনীর আয়ের মানুষ বেশি ভাগ যাচ্ছে।
রাজমিস্ত্রি শ্রমিক রমিজ ভোরের আলোকে জানায় করোনার লকডাউনে সব কাজ বন্ধ করে দিয়েছে তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি ভাংগা যাবো ফলের ট্রাকে ৫০০ টাকায় যাচ্ছি। বাসে যেতে লাগে ২০০ টাকা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত সাদমান ভোরের আলোকে জানায় জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যেতে হবে অন্য কেন যান নেই নিরুপায় হয়েই ট্রাকে যেতে হচ্ছে ৫০০ টাকায় ভাংগা যাবে এ পন্যবাহীট্রাক তারপর ভাংগা থেকে কিছু পেয়ে যাবো।
ট্রাক চালক সাজু মোস্তাফিজ ভোরের আলোকে জানায় আম নিয়ে আসছিলাম রাতে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে বরিশালে এখন ফিরছি কয়েকজন মানুষ নিয়ে যাচ্ছি ওনারা যা ভাড়া দেবে তাই নিমু। এদিকে রুপাতলী বাসস্টান্ডেও এমন চিত্র পাওয়া যায়। ট্রাকে যাত্রী চলাচল করতে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বাধা দিতে সরকারের কোন প্রশাসনকে দেখা যায়নি
নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মামুন ভোরের আলোকে জানান, কঠোর লকডাউন হবে শুনেছি তাছাড়া বরিশালে আক্রান্ত সংখ্যা অধিক তাই কুয়াকাটায় বাড়ি চলে যাচ্ছি ট্রাকে ৭০০ টাকা চাইছিলো শিক্ষার্থী বলে অনুরোধ করায় ৫০০ তে রাজি হইছে। তবে রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ঝালকাঠি, পিরোজপুর,খুলনাও যাচ্ছে।
এদিকে বরিশাল নগরীতে অটো, সিএনজি বন্ধ ঢাকায় পা চালিত রিকশা ও ব্যাটারি রিকশা দুই তিন গুণ ভাড়া নিয়ে যাত্রী চলাচল করে যাচ্ছে।
নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড অবদি রিকশা ভাড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকার বেশি নিচ্ছে। যা স্বাভাবিক সময়ে রিকশায় ৫০ আর অটো ভাড়া ২০ টাকা ভাড়ায় চলাচল করে।
লকডাউন বাস্তবায়নে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক বিদ্যুত কর্মকার জানান, পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোন যাত্রীবাহি যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। নগরীর অভ্যন্তরে জরুরী প্রয়োজনে শুধুমাত্র পায়ে চালিত রিক্সা চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে।