বরিশালে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা আদায়

করোনা ইস্যুতে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পন্যের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। বাজারে প্রচুর পন্য মজুদ থাকলেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে। এ অবস্থায় নিত্য পন্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বরিশাল নগরীর প্রধান প্রধান মোকামে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত হাটখোলা রোডের বাংলাদেশ অয়েল মিলে অভিযান চালিয়ে ১৪০টাকা লিটার দরের সরিষার তেল ১৮০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ পায়। এ সময় সেখান থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে নগরীর পেঁয়াজ পট্টির পুলিন বিহারী ঘোষের মুদি দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ওই দোকান থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া পেঁয়াজপট্টির ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা না করার জন্য হুঁশিয়ার করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এদিকে বরিশালে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রি করায় এক সার্জিক্যাল স্টোরের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া সদ্য বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর সদর রোডের শাহিন কমপ্লেক্সে সার্জিক্যাল স্টোরে অভিযান চালায়। সেখানে মাস্কের দাম বেশি রাখার প্রমাণ পাওয়ায় মেডিসান সার্জিক্যাল এন্ড সাইন্টিফিক দোকানের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
পরে সদ্য বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত সকলকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন এবং এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারী দেন।