বরিশালে মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সম্মাননা

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মৃৎশিল্প আমার দেশের ঐতিহ্য, একে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে, তাহলে যেমন পরিবেশ বাঁচবে তেমনি মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজারো মানুষ বাঁচবে। দীর্ঘ মৃৎ ঐতিহ্যেকে বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

১৩ তম মৃৎশিল্পী সম্মাননা ও সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেনসংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ছেলে প্রকৌশলী ময়নুল আবেদীন এবং জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। 

আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শিল্পানুরাগী ময়নুল আবেদিন, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) বরিশালের সভাপতি শাহ সাজেদা, মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদান সংগঠনের আহবায়ক সুশান্ত ঘোষ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা মৃৎ উপকরণের আধুনিকতার প্রতি জোর দিয়ে মৃৎশিল্পীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়ার দাবি তোলেন। পাশাপাশি মৃৎশিল্পীদের পণ্য বাজারজাতকরণে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান।

বক্তারা বলেন, এই শিল্পের কাচামাল আমার দেশের মাটি। এ ছাড়াও এই শিল্পের সঙ্গে দক্ষ একদল সম্প্রদায় জড়িয়ে আছে। সুতরাং এই শিল্পের ভবিষ্যত উজ্জল থাকার কথা। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত হাজারো মানুষ কোনভাবে টিকে আছে, নতুন করে কেউ এই পেশায় আসতে চাইছে না।

আয়োজনে আজীবন ক্যাটাগরিতে বরিশালের গৈলা গ্রামের জয়দেব পালকে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মৃৎশিল্প সম্মাননা ও মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলার ডাসার গ্রামের উমা রানী বিশ্বাসকে শিল্পী চিত্ত হালদার সম্মাননাসহ নগদ দশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৩ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট, নগদ পাচ হাজার টাকা ও বস্ত্র প্রদান করা হয়।

এছাড়া এই আয়োজন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ১৬ চিত্রশিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়।
আয়োজনে নকশী পিঠার ছাচের প্রদর্শনী করা হয়। সম্মেলনে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও রাজশাহী, নওঁগা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও রাজবাড়ি থেকে প্রায় দুইশত মৃৎশিল্পী অংশগ্রহণ করেন।