বরিশালে যাত্রীর চাপে অতিরিক্ত ভাড়া বিমানে

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশে লকডাউন চলছে। দূরপাল্লার লঞ্চ, বাস চলাচল বন্ধ। ঢাকা-বরিশাল অভ্যন্তরীন রুটে একমাত্র বিমান চলাচল অব্যাহত আছে। তাই বিমানে যাত্রীদের যাতায়াত বেড়েছে। ঢাকায় যাতায়াতের জন্য একমাত্র যান বিমান হওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার থেকে দেশে সরকারের দেয়া সাত দিনের কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। তবে লকডাউনে ফ্লাইট নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
এদিকে সাধারণ যাত্রীরা দূর্ভোগে পড়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ৪ জুন ঘোষিত নির্দেশনা কার্যকর থাকবে বলে জানা গেছে।
বরিশালগামী যাত্রী সিহাব হোসেন ভোরের আলোকে বলেন, ‘বিমান বড়লোকের জন্য। আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য না। বিমানে ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা যা আমাদের পক্ষে খরচ করা সম্ভব না। তবুও জরুরি প্রয়োজনে আসছি।’
বিমানে ঢাকাগামী যাত্রী মাসুদ আলম বলেন, ‘দু:সময়ে টাকার দিকে তাকানো যাবে না। যাতায়াতের জন্য একমাত্র উপায় এখন শুধুই বিমান। মূল লক্ষ্যই হচ্ছে গন্তব্য পৌঁছানো।’
অনলাইনট্রেভেল এডেন্সি ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ এর সুমাইয়া গতকাল জানান, বুধবার (৩০ জুন) সকাল ১০টার ফ্লাইটে ইউ এস বাংলার বিমান জনপ্রতি ভাড়া ৫ হাজার ২০৯ টাকা। বাংলাদেশ বিমানে বরিশাল থেকে ঢাকা বিকাল ৪টার ফ্লাইটে জনপ্রতি ভাড়া ৩ হাজার ৫১৮ টাকা এবং আগামীকাল (১ জুলাই) শুক্রবার ইউ এস বাংলায় জন প্রতি ভাড়া ৩ হাজার ৩৪৬ টাকা।
তিনি আরো বলেন, বিমানে যাত্রীর চাপ অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ হয়।