বরিশালে লঞ্চের কেবিনে এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা

ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চের কেবিনে এক নারীকে (২৩) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা হত্যা করা হয়েছে। লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে অভিযুক্ত সনাক্ত হলেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ নামে একটি লঞ্চের কেবিনে নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাস রোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সোমবার ভোরে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছার পর মধ্য বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
ওই নারীর সঙ্গে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ সনাক্ত করতে পারলেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশ আরো জানিয়েছে ওই নারীর পরিচয় পাওয়ার চেষ্টা চলছে। এঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে।
পারাবত লঞ্চ কোম্পানীর স্থানীয় কর্মকর্তা মো. সেলিম জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে এক ব্যক্তি ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে পারাবত-১১ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিনে ওঠেন। লঞ্চের রেজিস্ট্রারে তার নাম দেওয়া হয় কামরুল। মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয় ০১৭১১০২৫০৯২।
সোমবার ভোর ৪টা ৪৭ মিনিটে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করলে ওই নারীর সঙ্গে থাকা পুরুষ ব্যক্তি নিহত নারীর ব্যাগ, মাস্ক এবং ওড়না নিয়ে ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে দ্রুত নেমে যায়। তার মুখমন্ডলে মাস্ক পরিহিত ছিলো। অন্যান্য সকল যাত্রী নেমে যাওয়ার পরও কেবিনে থাকা নারী না নামায় কেবিন বয়রা তাকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তারা নৌ পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ, থানা পুলিশ এবং সিআইডির ক্রাইমসিন বিশেষজ্ঞ দল ওই নারীর মৃত দেহ সহ খুটিনাটি সব বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তন্তের জন্য পাঠানো হয়।
বরিশাল সিআইডি’র ক্রাইমসিন ইউনিটের পরিদর্শক আল-মামুনুল ইসলাম জানান, ওই নারীকে ধর্ষণ শেষে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং তার গলায় শ্বাস রোধের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা তাদের।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার সহকারি কমিশনার মো. রাসেল জানান, ওই নারীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ, মাস্ক এবং ওড়নাও সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি নিয়ে গেছে। নিহত হওয়া ওই নারী বরিশাল অঞ্চলের নয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জাকারিয়া রহমান জানান, লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই নারীর সঙ্গে থাকা সন্দেহভাজন পুরুষ ব্যক্তিকে পুলিশ সনাক্ত করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাস টার্মিনালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য ওই নারীর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ অভিযুক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জাকারিয়া রহমান।