বরিশালে সুফল পেতে সময় লাগবে বলছে আওয়ামী লীগ

বরিশালে সুফল পেতে সময় লাগবে বলছে আওয়ামী লীগ


টানা ৫ দিনের অস্থিরতা কাটিয়ে বরিশালে শান্তির সুবাতাস বইছে। গত রোববার রাতে বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনে বিভাগীয়, জেলা প্রশাসন, রেঞ্জ ও মেট্রো পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিটি মেয়রসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সমঝোতা বৈঠকের পর বরফ গলতে শুরু করেছে।

মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, আলোচনা শুরু হয়েছে। মামলার প্রত্যাহারসহ আলোচনার সুফল পেতে কয়েকদিন সময় লাগবে। সমঝোতার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সুশীল সমাজ। তবে সমঝোতার প্রক্রিয়া জানার অধিকার জনগণের আছে বলে মনে করেন তারা। এদিকে বরিশালের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বার্থে এমন উদ্যোগ খুবই জরুরী ছিলো বলে মনে করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। তবে আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই পুরো বিষয়টি সমাধান করার হবে বলে তিনি জানান।
শান্তির শহর বরিশালের মানুষের গত ৫টি দিন কেটেছে অস্থিরতায়। কিন্তু গত রোববার রাতে বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মেয়রসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সমঝোতা বৈঠকের পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বরিশালের আইন শৃঙ্খলা, স্থানীয় জনগণের জীবনমান এবং সর্বোপরি দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি জানিয়েছেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তৃতীয় কোন পক্ষ সুযোগ নিতে পারে। চলমান সমস্যা সমাধানে আলোচনা শুরু হয়েছে। মামলা প্রত্যাহারসহ আলোচনার সুফল পেতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানান একেএম জাহাঙ্গীর। প্রশাসন ও পুলিশের মামলার সুরহা হলে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র এবং রাজস্ব কর্মকর্তার দায়ের করা মামলার বিষয়েও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন একেএম জাহাঙ্গীর।

এদিকে সমঝোতার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতারা। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি জানার অধিকার জনগণের আছে। ঘটনার পেছনের ঘটনাসহ পুরো বিষয়টি উদঘাটনের জন্য সরকারের একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত হওয়া উচিত ছিলো বলে মনে করেন বরিশাল নাগরিক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এনায়েত হোসেন চৌধুরী। মূল রহস্য উদঘাটিত না হলে আবারও এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশাংকা করেন তিনি।

 অপরদিকে যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় জরুরী হয়ে পড়ে বলে মনে করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। তারই অংশ হিসেবে গত রোববার রাতে প্রশাসনের সঙ্গে সিটি মেয়রসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশালের মানুষের কল্যাণে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই পুলিশ এবং ইউএনওর মামলার সুষ্ঠু সমাধান করার কথা বলেন তিনি। গত কয়েক দিনের চলমান পরিস্থিতি নিরসনে স্থানীয় গনমাধ্যমের ভূমিকার প্রসংশা করেন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
চলমান অস্থিরতা কাটিয়ে সমঝোতার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বরিশাল নগরীর সব শ্রেণি পেশার মানুষ।