বরিশাল নগরের কাউনিয়ায় ফারজানা আক্তার (১০) নামে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
ফারজানা কাউনিয়া কালাখান বাড়ি এলাকার দিনমজুর আলমগীর হোসেনের মেয়ে। সে কাউনিয়া আভাস আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ফারজানার মা মরিয়ম বেগম বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার (২৪ মে) সকালে মেয়ে ফারজানা ও শিশু ছেলেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজে যান। একই সময় শিশুর বাবা আলমগীরও কাজে বের হয়ে যায়। এর কিছু পর ফারজানা ঘরে ফিরে যায়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি (মরিয়ম) বাড়ি গিয়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতেই বাশেঁর সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান। এসময় সালোয়ারের পেছনে কিছু অংশ ছেড়া ও মুখ থেকে ফ্যানা বের হতে দেখা যায় বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফারজানাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করে মরদেহ জানালার পাশে বাঁশের খুঁটিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আর এর পেছনে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ায় জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি প্রথমে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও পরে ধর্ষণ ও হত্যা বলে অভিযোগ ওঠে। তবে সুরতহালে তেমন কোনো আলামত মেলেনি। তাই মেডিকেল বোর্ড গঠন করে রোববার ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনই বলে দেবে এটি ধর্ষণ, হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন ফারজানার আলমগীর হোসেন।