বরিশাল জেলা ও মহানগরে প্রতিদিন ৮ হাজার টিকা দেয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ

বরিশাল জেলা ও মহানগরে প্রতিদিন ৮ হাজার টিকা দেয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ

বরিশালে করোনা টিকায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। জেলা ও মহানগরীতে প্রতিদিন ৮ হাজার মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের। জেলা ও মহানগরীর ৩৩টি কেন্দ্রে অধির আগ্রহে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা দিচ্ছেন তারা। এদিকে ইতিপূর্বে যারা কোভিডশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তাদের এখন দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন।

এর আগে গত ৭ আগস্ট ১ দিনের ক্যাম্পেইনে জেলা ও মহানগরীর ১৪১টি কেন্দ্রে ৭৬ হাজার ৪২০ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
 
১ দিনের ক্যাম্পেইনের পর থেকে মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ২৪টি কেন্দ্রের ৩৫টি বুথে দেয়া হচ্ছে মডার্নার টিকা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকা দেয়া হচ্ছে প্রতিটি কেন্দ্রে। প্রতিটি কেন্দ্রেই সকাল থেকে টিকায় আগ্রহীদের ভীড় দেখা গেছে।

লাইনে দাঁড়ানো মানুষ জানান, সুস্থ থাকতে তারা নিজেদের ইচ্ছায় টিকা নিচ্ছেন। টিকা নিতে কোন সমস্যা বা ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি তাদের। 

টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বরত সেবিকারা জানান, যারা ইতিপূর্বে রেজিস্ট্রেশন করে মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) পেয়েছেন কেবল তাদের মডার্নার টিকা দেয়া হচ্ছে। 

সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল হাজবুন জানান, নগরীর ২৪টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ৫ হাজার মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের। 

এদিকে ১ দিনের ক্যাম্পেইন শেষে জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেয়া হচ্ছে সিনোফার্মের টিকা। প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল থেকে টিকায় আগ্রহী মানুষের ভীড় জমে যায়। কেন্দ্র সংখ্যা কম হওয়ায় মানুষের ভীড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। সকাল থেকে কয়েক ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুরে টিকা পেয়েছেন অনেকে। এতে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দুর্ভোগ এড়াতে টিকা কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। জেলার ৯টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ৩ হাজার মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। 
এদিকে এর আগে যারা কোভিড শিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের একই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ড. মো. মনোয়ার হোসেন।