বরিশাল বাবুগঞ্জে চামড়ার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ

বরিশাল বাবুগঞ্জে চামড়ার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ

বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলা দেহেরগতি ইউনিয়নে রাহুত কাঠি বাজারে টলার ঘাটে যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন এলাকার লোকজন কোরবানির পশুর চামড়ার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

জানাযায়, রাহুতকাঠি বাজার থেকে শিকারপুর বাজারে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকজন চলাচল করে। কিন্তু সেখানে  যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন একটি দোকান ভারা করে  কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করে ।

এতে স্থানীয় লোকজনকে চামড়ার তীব্র পচা গন্ধ নীরবে সহ্য করতে হচ্ছে। দোকান  সংলগ্ন রাস্তার ধরে মুখে রুমাল চেপে যাতায়াত করেও নিস্তার মিলছে না যাত্রীদের। চামড়ার দোকানে আশপাশের দোকান  মালিকদের  দুর্গন্ধকে সহ্য করতে হচ্ছে।

ওই এলাকায় নিয়মিত যাতায়াতকারীরা জানান, স্থানীয় খালেক শিকদার ও তার ছেলে আলমগীর  গত কয়েক বছর থেকে জনগনের চলাচল এর জায়গায় ও যাত্রী ছাউনি  সংলগ্ন এলাকায়  চামরা রাখার কারনে দুর্গন্ধ সবসময়ই থাকে।

এমনকি যাত্রী ছাউনি দখল করে লবন সহ বিভিন্ন জিনিস রেখে জন সাধারণ এর বসার জায়গা দখল করে রেখেছে এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনসাধারণ। সকল মানুষ তাদের বাধা দিলে ও কারো কথাই শুনছে না খালেক শিকদার ও আলমগীর শিকদার। 

এতে গত কয়েকদিন ধরে দুর্গন্ধ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে চালকদের পাশাপাশি যাত্রীদের নাকে রুমাল চেপে অতিক্রম করতে হচ্ছে।

স্থানীয় দোকান মালিকরা বলেন, গন্ধের কারনে কয়েক দিন ধরে দোকান বন্ধ রেখেছি এখন দুর্গন্ধ নিয়েই আমরা কাজ করি। এবার চামড়ার দুর্গন্ধের মতো এমন পরিস্থিতির শিকার আর হতে হয়নি। গন্ধের কারণে এই বাজারে থাকার আবস্থা না।

এ ব্যাপারে রাহুতকাঠি বাজার সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জসিম উদ্দিন সুভ  বলেন, আমরা চামরা ব্যবসায়ী খালেক শিকদার ও আলমগীর শিকদারকে বাজারের অন্য খানে দোকান এর ব্যবস্থা করে দিলেও সে কথা না সুনে সকলের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন যাহা সত্তিই দুঃখ জনক।