বরিশাল বিসিকে জুতার কারখানায় আগুন : তদন্ত করছে ফায়ার সার্ভিস

বরিশাল বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় ফরচুন সুজ নামে একটি জুতার কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ৩ তলা কারখানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওয়ারহাউজ কক্ষে (স্টোর রুম) এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় দ্রুত আগুন নেভানোয় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বিসিক শিল্প নগরীর মধ্যে থাকা ফরচুন সুজ ফ্যাক্টরীর দ্বিতীয় তলায় ওয়্যারহাউজ কক্ষে (স্টোর) অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। ধোয়ার কুন্ডলী দেখে শ্রমিক-কর্মচারীরা ডাক-চিৎকার দেয়। এ সময় ফ্যাক্টরীর কর্মীরা নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপদে বের করা সহ ওয়্যারহাউজ থেকে যাবতীয় কাঁচামাল সরানোর কাজ শুরু করে তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। আগুন নেভাতে গিয়ে দুইজন শ্রমিক কিছুটা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। 

শিল্পের নিরাপত্তার জন্য বরিশাল বিসিক শিল্প নগরীতে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে বলে দাবী শ্রমিক-কর্মচারীদের। 

বলিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, দোতালায় ‘র’ ম্যাটেরিয়ালসে (কাঁচা মাল) আগুন লেগেছিলো। বড় ধরনের ক্ষতির আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। কেন কিভাবে আগুন লেগেছিলো বিষয়টি তদন্ত চলছে। 

তদন্ত ছাড়া আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন কোম্পানীর জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর কবির। আগুনে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে সৃস্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া জানান তিনি। 

তবে  বিকেলে ঢাকায় অবস্থানরত ফরচুন সুজ কোম্পানীর চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ওয়্যারহাউজে কোন বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই। সেখানে আগুন লাগার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি নাশকতার আশংকা করছেন তিনি।