বাবুগঞ্জে সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল নদীতে রেণু পোনা নিধন

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদীতে অবৈধ নেটজাল দিয়ে রেণু পোনা নিধন চলছে। ফলে এলাকার নদী থেকে রেণু পোনার সাথে বিভিন্ন মাছের রেণু নিধনের প্রেক্ষিতে নদীগুলো মাছ শূন্য হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে উপজেলার সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর বিভিন্ন স্থানে নদীতে ভাটা শুরু হলে রেনু সংগ্রহ করার দৃশ্য দেখা যায়। সূত্র জানায়, এসব রেনু সংগ্রহকারীরা সাতক্ষীরা থেকে বাবুগঞ্জে এসে স্থানীয়দের ছত্র ছায়ায় থেকে রেনু শিকার করছেন। নদীতে অবৈধ মশারী জাল ফেলে হাজার হাজার ভাটা ও চিংড়ী মাছের রেনু শিকার করেন তারা। পরে স্থানীয় পুকুরে সংরক্ষণ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করা হয় এসব রেনু।
জানা গেছে, জোয়ারের সময় উজানে বাগদা চিংড়ীর পোনা ও রেণু উঠে আসে। পরে ভাটার টানে উঠে আসা পোনা নদীর তীর ঘেষে নীচের দিকে নামার চেষ্টাকালে নদীতে পুঁতে রাখা পানির এক ফুট নিচে খুঁটির সাথে অবৈধ নেটে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রেণু পোনা আটকে যায়।
আটকে যাওয়া এসব (মাছের বাচ্চা) রেণুর সাথে দেশীয় মাছের পোনা ও ছোট কাঁকড়াও উঠে আসে। নদী থেকে নেট উপরে (ডাঙ্গায়) তুলে আনার পর রেণুগুলো বাছাই করে নেয়া হয়। এসময় জালে আটকে থাকা ছোট ছোট মাছ ও কাঁকড়া মরে যায় বা ফেলে দিয়ে নিধন করা হয়। এতে করে নদীতে দেশীয় মাছ ও কাঁকড়া দিনে দিনে কমে যাচ্ছে বা উধাও হয়ে যাচ্ছে।
দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামের বাশার এর নেতৃত্বে সাতক্ষীরা তালা থানার মাছিয়ারা গ্রাম থেকে রেনু শিকারে আসা আলমগীর ও হান্নান বিশ্বাস বলেন, আমার ৫/৬ বছর যাবৎ সুগন্ধা নদী থেকে রেনু শিকার করে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঘেরে বিক্রি করি। এটা আমরা বৈধ বলে মনে করি।
অপরিকল্পিত ভাবে নদীতে রেনু ধরার নামে সকল প্রকার মাছের নিধনের কারনে এলাকার নদীতে এখন ১২ মাস আর মাছের সন্ধান মেলেনা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, ইতিমধ্যে জেলার নেতৃত্বে বাবুগঞ্জে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আবার অতি দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন মাছের পোনা সংরক্ষণে অবৈধ নেট জাল ব্যবহার করা দন্ডনীয় অপরাধ। এব্যপারে কোন ছাড় দেওয়া হবে ন।