বাবুগঞ্জে ১৩৭ টি পেঁপে গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

বাবুগঞ্জে ১৩৭ টি পেঁপে গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

বাবুগঞ্জে এক কৃষকের ঘেরের ১৩৭ টি পেঁপে গাছ ও শতাধীক কুমড়া গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। 

শনিবার দিবাগত রাত আনমানিক ২ টার পর এ ঘটনা ঘটে।রবিবার সকালে জমিতে গিয়ে গাছগুলো কাটা পরে থাকতে দেখেন ভুক্তভোগী কৃষক আবু বকর সিদ্দিক সুমন।

এ ঘটনাটি ঘটেছে বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের বায়লাখালি গ্রামের পেঁপে চাষে চমক দেখানো প্রবাসী আবু বকর সিদ্দিক সুমনের নতুন ঘেরে। এ ঘটনায় রোববার বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।


ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সুমন জানান, আমি ৪  মাস আগে নিজের ১  একর জমিতে নতুন ঘের করে পেঁপে গাছের চারা লাগিয়েছিলাম। বেশ ফলনও হয়েছিল। ওই ঘেরের পেঁপে এখনও বিক্রি করা শুরু করিনি। পেঁপের ভালো ফলন হয়েছে। আমার সাথে বায়লাখালী গ্রামের মৃত কদম আলী হাওলাদারের ছেলে সুলতান হাওলাদারের সাথে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলমান। ওই বিরোধের জেরে সুলতান ও গাজীপুর এলাকার কাঞ্চন মৃধার ছেলে সহিদ ওরফে পর্চা সহিদ একটি ভূয়া দলিল তৈরি করে আমার জমির মালিকানা দাবি করে। আমি গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি চিটিং মামলা করি। ওই মামলার জেরে তারা বিভিন্ন সময় আমাকে দেশ ছাড়া ও হয়রানি করার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি শতভাগ নিশ্চিত ওরাই আমার এত বড় ক্ষতি করেছে। এখন আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আশা করি পুলিশ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবেন। 

আমার পেঁপে চাষে সফলতা নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় নিউজ ও হয়েছে। নিউজের পরে আমি বেশ সারা পেয়েছিলাম। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার কাছে পেঁপে চাষ সম্পর্কে জানতে চাইতো। এমনকি অনেক লোক আমার কাছে পেঁপে চাষে আগ্রহ দেখিয়ে পেঁপের চারা চেয়েছেন। আমার এ সফলতা দেখে ওরাই এমন ক্ষতি করেছে।

তিনি বলেন, রবিবার সকালে জমিতে কাজ করতে গিয়ে দেখি বাগানের সবগুলো পেঁপে গাছ কাটা পড়ে রয়েছে। ধারনা করা হয়েছে শনিবার দিবাগত গভীর রাতের যেকোন সময় গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এতে আমার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ও কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ঘের পরিদর্শন করেছেন।এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শত্রুতা বসত এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এতে ঐ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।