বাবুলের মামলার আবেদন,আদেশ পিছিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর

বাবুলের মামলার আবেদন,আদেশ পিছিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর

হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের মামলার আবেদনের বিষয়ে আদেশ পিছিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিচারক ছুটিতে থাকায় আদেশ হয়নি। ২৫ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন নেসার আদালতে আবেদনটি আদেশের অপেক্ষায় ছিল।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর কারাবন্দি বাবুলের পক্ষে তার আইনজীবী মামলার আবেদন করেছিলেন। আবেদনে ২০২১ সালের ১০ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত বাবুলকে পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হেফাজতে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।

এদিকে, হেফাজতে বাবুলকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। যে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন— পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা, জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআইয়ের পরিদর্শক এনায়েত কবির, সাবেক পরিদর্শক এ কে মহিউদ্দিন ও সন্তোষ চাকমা।

অন্যদিকে, বাবুল ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আরো একটি আবেদন করেন। সেখানে বলা হয়, আগের মামলার আবেদন করার পর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বাবুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তার সূত্র ধরে, ১০ সেপ্টেম্বর ফেনী মডেল থানার ওসি কারাগারে গিয়ে বাবুলের সেলে তল্লাশি চালান, যা কারাবিধিতে নেই। যে কারণে বাবুল ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কারাগারে বাবুলের নিরাপত্তা জোরদার করতে ফেনীর জেল সুপারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদনে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনায় বাবুল প্রথমে বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ২০২১ সালের মে মাসে মিতুর বাবা বাদী হয়ে বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

অপরদিকে, বাবুলের করা মামলাটিও সচল থাকে। ২০২১ সালের মে মাসে বাবুলকে স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি করা হয়। বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। ১৯ অক্টোবর ওই অভিযোগপত্র গ্রহণের তারিখ রয়েছে।