বেতাগীতে বিএনপি নেতার হাতে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব

বেতাগীতে বিএনপি নেতার হাতে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব

এক সময়ে বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এখন সেই ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডেরই আওয়ামীলীগের সভাপতি। প্রায় ৯ বছর ধরে বিএনপি নেতার হাতেই আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব থাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। ঘটনাটি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে।

ইউনিয়নটির ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন বিএনপি সরকারের ক্ষমতাকালে ছিলেন বিএনপির ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ২০০৫ সালে অনুমোদিত হোসনাবাদ যুবদলের কমিটি তালিকায় যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে রয়েছে তার নাম। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দল পরিবর্তন করে সে। ২০১৩ সালে গঠন করা হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি হয়ে যায় আফজাল। আর সেই থেকে যুবদলের যগ্ম সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে চলছে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

হোসনাবাদ ইউনিয়নটির ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান হোসনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুররহমান (নান্না ) শিকদার জানান, ২০১৩ সালে কাউন্সিলের সময় হঠাৎ বিএনপির যুবদলের  নেতা আফজালের নাম প্রস্তাব করলে রাগে ক্ষোভে নিজেকে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নেন তিনি। তার কথামতে শুধু তিনি নয় আরো অনেক ত্যাগী নেতা কর্মীরা তখন ক্ষুদ্ধ থাকলেও উপজেলায় আওয়ামীলীগের কিছু নেতাদের ম্যানেজ করে আওয়ামীলীগের কমিটিতে ঢুকে পরে আফজাল। কমিটিতে প্রবেশের পর আওয়ামীলীগের নয় বিএনপির হয়েই কাজ করায় তৃণমূলে ওয়ার্ডটির আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা সব দুরে সরে আছে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম থেকে।

এ বিষয়ে আফজাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি কখোনই বিএনপির রাজনীতীর সাথে জরিত ছিলেননা। 

আফজালের এমন বক্তব্যের পর কথা হয় ২০০৫ সালের যুবদলের কমিটি তালিকা অনুযায়ী যুবদলের তখনকার সদস্য কিসলু মুন্সির সাথে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর আফজাল দল পরিবর্তন করেছে। তার আগে বিএনপির রাজনীতীতেও ক্ষমতা লোভেই এসেছিলেন আফজাল। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলে ঢুকে প্রভাব বিস্তার করে আফজাল।

এ বিষয়ে ২০০৫ সালের বেতাগীর হোসনাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মোঃ সোহরাব হোসেন আকন জানান, আফজাল হোসেন তার আহবায়ক থাকা সময় ঐ কমিটির ২০ নম্বর সদস‍্য ছিলো এবং তিনি আরও বলেন তার কাছে তখনকার কমিটির অনুমোদিত সকল কাগজপত্র আছে।

তৃণমূলের ক্ষোভ নিয়ে কথা হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান ফোরকানের সাথে, তিনি জানান, ২০১৩ সালে জেলা আওয়ামীলীগের এক নেতার সুপারিশে কমিটি গঠিত হয়। তবে বর্তমানে যে অভিযোগ এসেছে তা সঠিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। ২০০৫ সালের একটি যুবদলের কাগজও তার কাছে অভিযোগ আকারে এসেছে ইতমধ্যে।