ভাণ্ডারিয়ায় ইমপ্যাক্ট জীবনতরী’ ভাসমান হাসপাতাল

ভাণ্ডারিয়ায় ইমপ্যাক্ট জীবনতরী’ ভাসমান হাসপাতাল

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার রোগীদের দুয়ারে আসছে ভাসমান হাসপাতাল। স্বল্প খরচে প্রতীবন্ধী রোগী সহ নানা রোগের চিকিৎসাদিতেসেবা দিতে উপস্থিত এ ‘ইমপ্যাক্ট জীবনতরী’ ভাসমান হাসপাতাল।

মঙ্গলবার বিকালে ভান্ডারিয়া হাসপাতাল সংলগ্ন পোনা নদীতে হাসপাতালটি নোঙ্গর করে।

স্থানীয় সাংসদ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপির নির্দেশে ইতোমধ্যে এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার বিষয়ে পারিপার্শিক খোঁজ খবর নিতে জীবন তরীর নিকট ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক সীমা রানী ধর, জাতীয় পার্টি-জেপির উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মো. গোলাম সরওয়ার জোমাদ্দার,আওয়ামী লীগ নেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নিজামুল হক নান্না। এসময় জীবন তরীর কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে স্বল্পমূল্যে সেবা গ্রহীতাদের জানাতে মাইকিং সহ সবাত্মক সহোযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন। এ হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত সেবা নিতে আসা রোগীদের বসার জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে নদীর পাড়ে ভাসমান অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে টিকিট কাউন্টার। কাউন্টারে ৫০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে সিরিয়াল করে রোগী দেখা হবে। রোগীর সংখ্যা বুঝে অনেক সময় বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে রোগী দেখার পালা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা এখানে চলবে রোগীদের ব্যবস্থা পত্র। বিষেশ করে প্রতীবন্ধী রোগীর বাইরে অবস্থা ভেদে নাক, কান, গলা অপারেশন, হাড়ভাঙা,কানের ছিদ্র জোড়া লাগানো, ক্লাব ফুট (মুগুর পা), চোখের ছানি অপারেশন, এবং ঠোঁট কাটা রোগীদের ভাসমান হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হবে। রয়েছে স্বল্পমূল্যে টেস্টের ব্যবস্থাও।


হাসপাতালের প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন জানান, ১৯৯৯সালে দেশের নদী অববাহিকা এলাকার দরিদ্র,অতিদরিদ্র রোগীদের স্বল্পমূল্যে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এটি চালু করা হয়। সে থেকে এ পর্যন্ত ৫৫টি স্পটে এ জীবনতরী ভাসমান হাসপাতাল অগনিত মানুষের সেবা প্রদান করে আসছে। ২০০৪ সালে এই ভান্ডারিয়ায়ও তারা সেবা প্রদান করে গেছেন। দীর্ঘ ১৮বছর পর পুনঃরায় আবার ভান্ডারিয়া সহ পার্শবর্তী উপজেলার মানুষের সেবা প্রদানের জন্য মঙ্গলবার নোঙ্গর করেছেন। আজ বুধবার থেকে শুরু হবে সেবা প্রদান কার্যক্রম। ৩মাস থাকার কথা রয়েছে তাদের। তবে যদি রোগীর ভিড় বেশি হয় সে ক্ষেত্রে সময় আরো বাড়তে পারে বলেও জানান প্রশাসক। হাসপাতালে ৪জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, ৪জন বিশেষজ্ঞ নার্স, টেকনোলজিষ্টসহ ৩৫জনের একটি টিম কাজ করবে।

প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন আরো জানান, এ হাসপাতালে সব শ্রেনী পেশার মানুষ স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে সে দাবীতে তারা এখানে আসছেন। তারা আরো জানান এখানে চক্ষু,নাক-কান-গলা, অর্থপেডিকসসহ বাকা হাত-পা সোজাকরার চিকিৎসা দেওয়া হয়। জটিল রোগী হলে বা অপারেশনের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে রেফার করা হবে। তাছাড়া, হাসপাতালে জটিল রোগী আনা নেওয়ার জন্য নদী পথে স্পীড বোট ও সড়ক পথে এম্বুলেন্স সার্বক্ষনিক প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। এ উপজেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী কাছাকাছি উপজেলা অঞ্চলের মানুষের আহ্বানে তারা রোগীদের দুয়ারে চিকিৎসা দিতে আসছেন।