ভারতের রাস্ট্রপতি হলেন সাঁওতাল নারী দ্রৌপদী মুর্মু

ভারতের রাস্ট্রপতি হলেন সাঁওতাল নারী দ্রৌপদী মুর্মু

এবার ভারতের রাস্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল নারী দ্রৌপদী মুর্মু। তৃণূমূলের রাজনীতির কঠিন ও পরাবাস্তব পথ অতিক্রম করে জয়ী হয়েছেন। একদিকে যেমন তিনি অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আন্দোলন করে এগিয়েছেনর। তেমনি নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আজন্ম কাজ করেছেন। সেই কাজের স্বীকৃতি মিলেছে ভারতের রাষ্ট্রপতির মুকুট পড়ে। বেগম রোকেয়া, প্রীতিলতারা যে পথ দেখিয়ে গেছেন সেই পথের নতুন দিগন্ত মেলে দিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর এই অর্জনে নিরন্তর শুভকামনা ও অভিনন্দন।

ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তিনি একজন উচ্চ শিক্ষিত নারী। ওড়িশা রাজ্য থেকে আসা মুর্মু ঝাড়খ-ের প্রথম নারী রাজ্যপাল এবং ওড়িশা থেকে প্রথম নারী আদিবাসী নেত্রী হিসেবে ভারতীয় রাজ্যের গভর্ণর নিযুক্ত হন। রাজ্যপাল হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করা মুর্মু ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে মনোনীত হন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের আনুষ্ঠানিক মনোনীত প্রার্থী। এর আগে ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঝাড়খ-ের নবম রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ুরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডুর কাছাকাছি একটি সাঁওতালি উপজাতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এবং দাদা উভয়েই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার অধীনে গ্রামের প্রধান ছিলেন। রাজনীতিতে আসার আগে মুর্মু একজন স্কুল শিক্ষক হিসাবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, রায়রংপুরে একজন সহকারি অধ্যাপক এবং ওড়িশা সরকারের সেচ বিভাগে জুনিয়র সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন।

১৯৯৭ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন মুর্মু। এসময় তিনি নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ভারতীয় জনতা পার্টি তফসিলি উপজাতি মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

ওড়িশায় ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিজু জনতা দলের জোট সরকারের সময় তিনি বাণিজ্য ও পরিবহন এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন স্বাধীন দায়িত্বের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ওড়িশার প্রাক্তন মন্ত্রী এবং রায়রঙ্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একজন বিধায়ক ছিলেন। ২০০৭ সালে ওড়িশা বিধানসভা দ্বারা তিনি সেরা বিধায়কের জন্য নীলকণ্ঠ পুরস্কারে ভূষিত হন।