ভিসা চালুর দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

দ্রুত ভিসা চালু করার দাবিতে লাগাতর আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। চীনে পড়ুয়া ছয় হাজার শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন। ভ্যাকসিন নিলেও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত যেতে পারছেন না।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন যুক্ত হয়েছেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না এলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত করোনার কারণে দেশে ছুটিতে আসেন। তারা প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করলেও এখনো চীনে ফেরত যেতে পারছেন না। তাদের তিন বছরের কোর্সের মধ্যে দুই বছর অতিবাহিত হতে চলছে। আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পড়ালেখা করছেন। অনলাইন ক্লাস করে তাদের কোর্স শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস জরুরি হয়ে পড়লেও এখনো তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে ভিসা পাচ্ছেন না।
তারা বলেন, চীনের শর্ত অনুযায়ী আমরা দুই ডোজ করোনা ভ্যাকসিন নিলেও ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করতে না পারায় আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরবর্তী সেমিস্টার করতে না পড়ালে আমাদের পড়ালেখা ও ক্যারিয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
তারা আরও বলেন, চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে কেউ মাস্টার্স এবং পিএইচডি কোর্সে গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন। চীনে যেতে না পারায় বর্তমানে তাদের বৃত্তির ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে দিন পার করছেন। সমস্যার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছয় দফায় আবেদন জানালেও তারা কোনো ধরণের পদক্ষেপ নেয়নি। তারা আমাদের বিষয়ে উদাসীন আচরণ করছেন।
পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা এক মাস আগে চীনে চলে গেলেও আমাদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা ঘর ছেড়ে রাজপথে এসে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। সুনির্দিষ্ট ঘোষণা ছাড়া আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।