মালিকানা জমিতে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানে আদালতে মামলা

হীনদের ঘর তৈরীর সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমিহীন হয়ে পড়ছেন আলেয়া বেগম নামে এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় আলেয়া বেগম নামে ওই নারী বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ বাবুগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলাটি করেন। মামলায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বরিশাল জেলা প্রশাসকে বিবাদী করা হয়।
মামলা ও মামলার এজাহর সূত্রে জানা যায়, বাবুগঞ্জের জেএল ২৯ নং রাকুদিয়া মৌজার এস এ ২০৭৮ নং খতিয়ানের এস এ ৪৫১৯ নং দাগের ৪২ শতাংশ জমি ০২/০৭/১৯৬৯ সালে লক্ষ্মণ চন্দ্র সেন এর কাছ থেকে ক্রয় করেন আলেয়া বেগম। যার দলিল নং-৩৭৭৩। ক্রয়ের পর থেকেই ওই জমি আলেয়া বেগম গং চাষাবাদ করে আসছেন। ওই জমি খ গ্রেজেট ভুক্ত ভিপি তফসিল ভুক্ত হইলে ৫-১১-২০১৮ তারিখ ২৯৯৫ নং খতিয়ানে জমাখারিজ খতিয়ান খোলা হয় এবং বাদির নামে রেকর্ড হয়। যার হাল নাগাদ খাজনা পরিশোধ করা হয়। জমির মালিক আলেয়া বেগমের পুত্র মোঃ মনির অভিযোগ করে বলেন, ৪২শতক জমি আমার মা ক্রয়সূত্রে মালিক। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ শুনি এই জমি নাকি খাস হয়ে গেছে। এই জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ হবে। তখন এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে গত ১৫ মার্চ বাবুগঞ্জ সহকারী জজ আদালত ২১ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক, সহকারী জেলা প্রশাসক, বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন তড়িঘড়ি করে ঘর নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন।
সরেজমিনে গত শনিবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বিরোধপূর্ণ জমিতে আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। এ সময় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কোনো দিন তো শুনি নাই এ জমি খাস। এখন শুনছি এটা নাকি খাসের জমি। বাবুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, জমির মুল মালিক রাস্ট্র। আলেয়া বেগম এর পূর্বেও দু'বার আদালতে উক্ত জমির মালিকানা দাবী করে মামলা করেছিলেন। নাম জারির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ভুল তথ্য প্রদান করেছিলো আলেয়া বেগম। তাছাড়া আলেয়া বেগম বর্তমানে আদালতের স্মরনাপন্ন হয়েছেন। আদালতের দেয়া সময়ের মধ্যেই আমরা জবাব দিব। এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমীনুল ইসলাম বলেন "এ জমির কোন প্রকার মালিকানা আলেয়া বেগম'র নেই। পূর্বেও আলেয়া বেগম'র স্বামী এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন তা খারিজ হয়ে গেছে।বর্তমানে আলেয়া বেগম আদালতের স্মরনাপন্ন হয়েছেন। এব্যপারে আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ হবে।"