মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ডিবিপ্রধানের বিরুদ্ধে : সাবরিনা

মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ডিবিপ্রধানের বিরুদ্ধে  : সাবরিনা

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনা জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে তেজগাঁও থানা পুলিশ ডা. সাবরিনা ও আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিন পান সাবরিনা। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর ২০২৩ সালের ৫ জুন মুক্তি পান তিনি।

সম্প্রতি বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাজগোজ ও বিনোদন জগতে উপস্থিতির কারণে আলোচনায় আসা সাবরিনা এবার ডিবিপ্রধানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বন্দিনী ফাউন্ডেশনের একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

সাবরিনা বলেন, "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে। এ পুরো কাজটি পরিকল্পিতভাবে করেছেন তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুন। অথচ এ মামলায় আমি কোনো মূল আসামি ছিলাম না এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও কোনো জড়িত ছিলাম না।"

তিনি অভিযোগ করে বলেন, "ডিবিপ্রধান হারুন আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে তেজগাঁও থানায় ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তিনি কেবল দু'টি প্রশ্ন করেন— আমি কোন মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেছি এবং কততম বিসিএস। এরপর নাটক সাজিয়ে গণমাধ্যমে নানা গল্প প্রচার করে আমাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।"

সাবরিনা আরও বলেন, "ডিবিপ্রধান হারুন সরকার বা নিজের স্বার্থে নাটক সাজানোর জন্য পরিচিত ছিলেন। আমার ক্ষেত্রেও তিনি একই কাজ করেছেন। ৪৩ জন সাক্ষীর একজনও বলেননি যে আমি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি বা কোনো কাগজে স্বাক্ষর করেছি। বরং সাক্ষীরা শুধু মিডিয়ার মাধ্যমে আমার পরিচিতি সম্পর্কে জানার কথা বলেছেন।"

সাবরিনা দাবি করেন, "এই মামলার পুরো প্রক্রিয়া ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। সরকারকে এটি তদন্ত করে সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।"

এই ঘটনাটি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সাবরিনার বক্তব্য এবং তৎকালীন ডিবিপ্রধানের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।