মৎস্য সম্পদের কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে

মৎস্য সম্পদের কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে
পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অব. জাহিদ ফারুক শামীম-এমপি বলেছেন, আগে মানুষ কাপড় শুকাতে দিলে ছেড়া লুঙ্গি, শাড়ি দেখা যেতো কিংবা টেলিভিশনে সাক্ষাতকার দেখার সময় গ্রামের মানুষের গায়ে ছেড়া কাপর দেখা যেতো। কিন্তু এখন তা দেখা যায়না। সবাই ভালো কাপর পরিধান করছে। দেশ বর্তমান সরকারের আমলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক ভালো আছি। বৃহষ্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১২ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলে জাতীয় মৎস সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আগে একজন রিক্সাচালকের দিনে ১ থেকে ২ শত টাকা আয় করতে কতো কষ্ট হতো কিন্তু এখন একজন রিক্সাচালক দিনে ৭ থেকে ৮ শত টাকাও আয় করছে। সকলে যদি মিলেমিশে দেশের উন্নয়নে কাজ করি, তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যেই সমৃদ্ধশালী দেশ হবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশ ও দেশের জনগনের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আগে কোন সময় জেলেদের সহায়তা করা হতো না, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলেই জেলেদের কথা চিন্তা করে সহায়তা দিচ্ছে। সহায়তার পরিমান বাড়ানোর বিষয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, তাও পর্যায়ক্রমে দেখা হবে। মনে রাখতে হবে রাতারাতি কিছু করা সম্ভব না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে বিদেশীরা আমাদের দেশকে নিয়ে হাসাহাসি করতো, কিন্তু বর্তমান সরকারের উন্নয়নশীল চিন্তা-ভাবনার কারণে বিদেশীরা এখন বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে দেখছে। আমরা মৎস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারপরও একজন ভালো করলে আরেকজন দেখতে পারিনা এরকম না করে, গ্রামের পুকুল, খাল, জলাশয়ে সবাই মিলে মাছ চাষ করি। দেশের মৎস সম্পদের উৎপাদন বাড়াই, প্রত্যেকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাই। তিনি বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা জাটকা নিধন করছে, রেনু পোনা আরোহন করে পাচার করছে সেসব কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। আমি আশা করি বরিশাল বিভাগে কোন অসাধু ব্যবসায়ি তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে না। কেউ কালোবাজারি করতে পারবে না। বরিশালের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জকারিয়া, বিভাগীয় মৎস অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ অলিউর রহমান, জেলা মৎস কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবু সাইদ। আলোচনা সভার পূর্বে জেলা প্রশাসন ও মৎস অধিদপ্তরের আয়োজনে সার্কিট হাউজ চত্ত্বর থেকে নগরে একটি র‌্যালি বের করা হয়। যা নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে অশ্বিনী কুমার হল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা শেষে ২ জন সফল মৎসচাষী ও একটি প্রতিষ্ঠানকে সন্মাননা প্রদান করা হয়। সন্মাননা প্রাপ্তরা হলো বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সফল মৎস চাষী সৈকত সরকার ও বাবুগঞ্জ উপজেলার মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে বরিশালের ব্রাক গলদা চিংড়ি হ্যাচারি। এদিকে বেলা সাড়ে ১২ টায় নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন ডিসি লেকে জেলা প্রশাসন ও মৎস বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অব. জাহিদ ফারুক শামীম-এমপি পোনা মাছ অবমুক্ত করেন।