যুক্তরাষ্ট্র অর্থ সহায়তা দেবে না তালেবানকে

২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে ‘জাতি গঠনের’ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবানের দেওয়া আল্টিমেটাম অনুযায়ী গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সামরিক মিত্র দেশগুলো। এর মধ্যে সরকার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে তালেবান। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ এখন তীব্র খাদ্যভাবে ভুগছে। সম্প্রতি খাবারের দাম বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশটিতে।
এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে মানবিক সাহায্য করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। তবে তালেবান নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অর্থায়ন করার সম্ভাবনা নেই। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত আফগান ও শরণার্থীদের মানবিক সাহায্য দেওয়ার আগ্রহ থাকলেও তালেবান সরকারকে সরকারি সাহায্য দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের মাধ্যমে এ সহায়তা দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তালেবানের কাবুল বিজয়ের আগে আফগানিস্তান ব্যাপকভাবে বিদেশি সাহায্য নির্ভর ছিল, যার পরিমাণ ছিল মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪০ শতাংশ।
জাতিসংঘ বলছে, ১.৮ কোটি আফগান মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, শিগগিরই তাদের সঙ্গে একই পরিমাণ লোক যুক্ত হবে। ২০২০ সালে প্রকাশিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির ৪৩.৭ ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের সাহায্য নিয়ে অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতিসংঘ। সংস্থার প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এ বিষয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর একটি উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক আহ্বান করতে জেনেভা যাচ্ছেন।