রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা

রমজানের আগেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও বাড়তে শুরু করেছে ছোলা, ডাল, চিনির দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। এমন পরিস্থিতে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদেক্ষেপ নেয়ার তাগিদ তাদের। অস্থিরতা রোধে এক সঙ্গে অনেক পণ্য না কেনার পরামর্শ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।
রোজা শুরু হতে এখনো প্রায় দেড় মাস সময় বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে খেজুর, ছোলা, ডাল ও চিনির দাম। বেড়েছে মাংস ও ডিমের দামও।
সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে, গত এক সপ্তাহে ছোলার দাম বেড়েছে সাড়ে পাঁচ ভাগ। মানভেদে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। ১৩ শতাংশের বেশি বেড়ে মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। চিনির দামও চড়া। বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা কেজি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২৪ ভাগ বেশি। আর ২৫০ টাকার নিচে মিলছে না খেজুর।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, ‘যে মুগ ডাল আগে ছিল ২০–৩০ টাকা সেটা এখন ৬০–৭০ টাকা কেজি। কাঁচা বুট ছিল ৮৫–৯০ টাকা এখন সেটা ১০০ টাকার ওপরে। সব ডালের দামই অনেকে বেড়েছে।’
বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। মুরগির ডিমের ডজন ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা।
বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘যাদের ফিক্সড বেতন, তাদের জন্য তো ডাবল খরচ। আমার ক্ষেত্রেও। আগে যদি আমার ২০ হাজার টাকা খরচ হতো, এখন যদি অনেক হিসেব করেও চলি তাও ৩০ হাজার টাকা লাগছে। প্রতিটি সবজিতেই আমি দেখলাম যে গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা, ৩ টাকা করে দাম বেড়েছে।’
সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলে দাবি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের। অস্থিরতা রোধে এক সঙ্গে অনেক পণ্য না কেনার পরামর্শ তাদের।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে ডিমান্ডের চেয়ে সাপ্লাই কম এবং সে কারনে তারা আবার দামটা বাড়িয়ে দেয়। আপনারা দেখবেন যে, রমজানের প্রথম দিকে হঠাৎ করে দামটা বেড়ে যাচ্ছে এবং ৮ বা ১০ রমজানের পরে দামটা আবার কমে যাচ্ছে। এজন্য সাধারণ ভোক্তাদের আমি আহ্বান জানাচ্ছি, রমজানের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই।’
বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, রসুনের দাম।