রাবিতে পরীক্ষার ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফিশারীজ বিভাগের মাস্টার্স-২০২০ এর চলমান পরীক্ষার আগেই একটি কোর্সের (এফএমএমসি-৬৪১) প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্টোরিতে এই প্রশ্নপত্র ফাঁশ করে শেয়ার করেছেন একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসাইন।
বুধবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের স্ক্রিনশট সংবাদকর্মীর হাতে এসেছে। এ ঘটনায় আসন্ন পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান মন্ডল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসাইন ফিজারীজ অনুষদের ডীন এবং চলমান পরীক্ষা কমিটির সদস্য। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা এবং প্রশ্নপত্রের বিষয়টি অনেক স্পর্শকাতর বিষয়। এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতির অনুমতি ব্যতীত আমি মন্তব্য করতে চাই না।’ চলমান প্রশ্নপত্র মোবাইল ফোনে সংরক্ষণের বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি তার সাথে কথা বলেছি। এটা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। আগামী ২৭ তারিখ এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় আমরা পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা জরুরি মিটিং করে সেই প্রশ্নপত্র বাতিল করে পরীক্ষা স্থগিত করেছি। আবারও নতুন করে প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র মোবাইলে সংরক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরীক্ষার বিষয়গুলো খুবই স্পর্শকাতর। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করা পরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব। তিনি এটা লঙ্ঘন করেছেন। এটা অবশ্যই একটি অপরাধ।’
জানতে চাইলে ফিশারীজ বিভাগের সভাপতি এম মনজুরুল আলম বলেন, পরীক্ষার সার্বিক বিষয় দেখাশুনা করেন পরীক্ষা কমিটি। তবে, আমি বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি ভুলবশত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নপত্র মোবাইলে সংরক্ষণ করা তার উচিত হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অপরাধের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে বরখাস্ত, অর্থদণ্ডসহ আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আলমগীর হোসেন বলেন সরকার বলেন, বিভাগ থেকে অফিসিয়ালি আমাদের জানানো হয়নি। বিভাগ থেকে জানানো হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমাদেরকে এখনও জানানো হয়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি গুরুতর অপরাধ। বিষয়টি আমাদের নিকট আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
RSB24