লঞ্চ দূর্ঘটনা: শেবাচিমে রোগীরা সুস্থের পথে

ঝালকাঠির লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা থেকে আগত সাত জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
রবিবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। সকলেই সুস্থ্য অছে। কয়েক জন রোগীর হাত এবং পা বেশি পুড়ে যাওয়ায় তাদের সুস্থ্য হতে একটু বেশি সময় লাগবে বলে জনান ইর্ন্টান চিকিৎসকরা।
রোগীর স্বজন মো: শামিম আকন বলেন, আমার রোগী সুস্থ্য আছে, এখন আশঙ্কামুক্ত। বড় কোন সমস্য হওয়ার ঝুঁকি নেই। আমরা ভালোমত সেবা পাচ্ছি।
রোগীর স্বজন রুমী বেগম বলেন, আমাদের রোগীর বিভিন্ন চেকআপ, টেষ্টের জন্য কোথাও যেতে হচ্ছে না। রোগীর বেডের কাছেই সকল চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এছাড়া খাবারে অথবা কোন সমস্যা নেই।
হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগী রাসেদ সরদার বলেন, প্রথমে ভর্তি হওয়ার পরে কিছু মেডিসিন কিনে খেয়েছি। কিন্তু এখন সব কিছু এখান থেকেই দেওয়া হচ্ছে। আমরা ভালো আছি।
সাত সদস্য মেডিক্যাল টিমের প্রধান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ডা. নুরুল আলম বলেন, এই হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে উপকরন আছে। রোগীরা এখন সুস্থ আছেন। আমরা সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ইর্নন্টার চিকিৎসকরাও অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এখানে কোন রোগী বেশি আশঙ্কাজনক নেই। সকলেই সুস্থ্য আছেন। এছাড়া আইসিউতে যে ৩জন রোগী ভর্তি আছেন তারাও এখন আশঙ্কামুক্ত। এছাড়া আমার সাথে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী ডা. মাসরুর উর রহামন, রেজিষ্টার ডা. মোরর্সেদা কামাল, ফেস বি রেসিডেন্ট ডা. মৃদুল কান্তি সরকার এবং ডা. শাওন বিন রহমান। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে আসছেন ডা. আল মোনতাসির বিল্লাহ, ডা. ইসতিয়াক সুলতান। তারাও সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভর্তি রত রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। ঢাকা থেকে আগত চিকিৎসকবৃন্দ সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে ভার্তি আছে ৩৭ জন রোগী। তার মধ্যে শিশু ৫ জন, পুরুষ ২৩ জন, মহিলা ৭ জন। অর্থপেডিক্সে এ- ২জন এবং আইসিউতে ভর্তি আছেন ৩জন। মোট হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০ জন রোগী।