শান্তিপূর্ণ নগরীকে হঠাৎ করে অশান্ত করে তোলা হয়েছে

শান্তিপূর্ণ নগরীকে হঠাৎ করে অশান্ত করে তোলা হয়েছে। তাছাড়া আগস্ট মাস আসলেই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে।
বুধবারের ঘটনাটি সেই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। কেননা ওই রাতে বরিশাল সিটি মেয়রের ওপরেও গুলি চালানো হয়েছে।
মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর ওপর গুলি ১৫ই আগস্ট ষড়যন্ত্রের একটি অংশ বুধবার রাতে সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গুলি এবং সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ।
বরিশাল নগরীর কালীবাড়ি রোডে সিটি মেয়রের বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং বিসিসির প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট এ.কে.এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ সহ বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়ররা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রসী কর্মকান্ডের অভিযোগ করেন। ইউএনও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এর পেছনে অন্য কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি নেতৃবৃন্দের। তারা দাবি করেছেন, শান্তিপূর্ণ নগরীকে হঠাৎ করে অশান্ত করে তোলা হয়েছে। তাছাড়া আগস্ট মাস আসলেই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে। বুধবারের ঘটনাটি সেই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। কেননা ওই রাতে বরিশাল সিটি মেয়রের ওপরেও গুলি চালানো হয়েছে। সেখানে তাঁর জীবন শঙ্কা ছিল। কর্মীরা তাকে রক্ষা করেছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, সেররিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ শহীদ পরিবারের সন্তান। ১৫ই আগস্টে তাঁর ভাই জীবন দিয়েছেন। তার মা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। আজ সেই আগস্ট মাসেই মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর ওপর গুলি চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় আমাদের অন্তত ৬০ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অর্ধশত। তারা অভিযোগ করেন, আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসাও করতে দেয়া হচ্ছেনা। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছে তাদেরকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। মুমূর্ষ কর্মীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পর্যন্ত নিতে দিচ্ছেনা।
বুধবারের ঘটনা নিয়ে বেলা ১২টার দিকে আওয়ামীলীগ জরুরী সভা ডাকা হয়। কিন্তু পুলিশ সকাল থেকেই নিরাপত্তার অজুহাতে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাসা ঘিরে রাখে।
সভার উদ্দেশ্যে আসা নেতা-কর্মীদের বাড়ির বাইরে অবস্থান করা পুলিশ সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। উল্টো তাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে পাঠিয়ে দেয়। এটা কিসের আলামত এমন প্রশ্ন তুলে নেতৃবৃন্দ ষড়যন্ত্রমূলক এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দাবি জানান। সেই সাথে সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের শাস্তির দাবি জানান তারা।