শাবিপ্রবিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জাহাঙ্গীরনগরে

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে শেষ হয় মিছিল। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক শোভন রহমান বলেন, একটা সময় এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলতেন, শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো ধরনের নির্যাতনের আগে তাদের (শিক্ষকদের) ওপর হামলা চালাতে হবে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসে দেখছি, আন্দোলন হলে শিক্ষকরা পুলিশ ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এভাবে হামলা করে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলন নস্যাৎ করা যায় না।
ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন, নিরস্ত্র ছাত্ররা নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে গিয়েছিলো, তাঁদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের চিত্র। যেখানেই সুষ্ঠু আন্দোলন হয়েছে সেখানেই সরকারের পেটোয়া বাহিনীকে ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই সিস্টেম ভেঙে দিতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং অর্গানাইজেশনের সহসভাপতি তাপসী দে। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী অংশ নেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছেন ওই হলের ছাত্রীরা।
এসব দাবিতে রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। বিকেলে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে প্রবেশ করে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে যান।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।