সংবর্ধনা পেলেন ৩৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংবর্ধনা পেলেন ৩৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক।
মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের আয়োজনে ও বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সহযোগিতায় আজ তাদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে 'উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ২০৪১ গঠনে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের করনীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় তাদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে আমরা আজ এই অবস্থায় আসতে পেরেছি। পূর্ব পাকিস্তানের ২৩ বছরে দেশের অবস্থা কেমন ছিল তা এখানের সবাই আমরা জানি।
তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে ধাপে ধাপে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত এসেছে। পরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছি। তাদেরকে তাড়িয়েছি কিন্তু তাদের যারা দোসর, রাজাকার, আলবদর ছিল তারা এখনো যায়নাই। তারা নানাভাবে আমাদের সাথে মিশে আছে।
তিনি আরোও বলেন, রাষ্ট্রীয় নীতি অস্বীকার করার উপায় নেই। রাজনৈতিক মত বিরোধ থাকতে পারে। রাষ্ট্রের যে মূলনীতি সেটাকে সবকিছুর উর্ধে রাখতে হবে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকুক কিন্তু মূলনীতি ঠিক থাকতে হবে।
শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জাতির যে লক্ষ্য ছিল। বঙ্গবন্ধু যে সপ্ন দেখিয়েছিল দেশের মানুষের মুক্তির জন্য। সে জন্য কলম যোদ্ধাদের লেখনি চলমান রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের উপদেষ্টা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এমপি বলেন, আজকে যেই বাংলাদেশে আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেটা উনয়নশীল বাংলাদেশ। আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশে পা দিয়েছি আমরা। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত যে সরকার আছে তাদের ক্ষমতায় রাখতে হবে। চেস্টা করবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন আবার ক্ষমতায় আসেন। সেভাবেই আমারা মুক্তিযোদ্ধারা কাজ করে যাবো।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক আবু তাহের বলেন, সত্যের লালন, সত্যের পোষন এবং সত্যকে বিকশিত করা মুক্তিযুদ্ধের সাংবাদিকদের কাজ। এটা করতে পারলেই ২০৪১ সালের সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন সম্ভব।
মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ পেয়ারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কাজটা হয়ে গেছে। আমাদের এখন কোন কাজ নাই। আমাদের যা কাজ ছিল তা আমরা ৭১ এই করে ফেলেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্য আছে সেটাকে ধরে রাখতে হবে। আমাদের যে গণতান্ত্রিক শক্তি আছে সেটাইকেই ধরে রেখে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখাই হোক আমাদের কাজ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের উপদেষ্টা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এমপির সভাপতিত্বে আরোও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
৩৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হলেন- আসাদ চৌধুরী, মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক আবু তাহের, মৃণাল কৃষ্ণ রায়, হারুন হাবীব, শামসুদ্দিন আহমেদ, মুস্তাক আহমেদ মোবারকী, মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, কার্তিক চ্যাটার্জী, মীর মোস্তাফিজ আহমেদ, শাহাজান সরকার, আকরাম হোসেন খান, তরুন তপন চক্রবর্তী, হায়দার জাহান চৌধুরী, সলিম উল্লাহ সেলিম, কামরুল ইসলাম খান, আবু জাফর ইকবাল, মাইনুল হক ভূইয়া, শফিকুল বাশার, মো ফরহাদ উদ্দিন সরকার, স্বপন দাস গুপ্ত, সৈয়দ আহমেদুজ্জামান, মো মফিদুল ইসলাম, মো শাহজাহান মজুমদার, শামসুদ্দিন আহমেদ, আতাহার হোসেন, হালিম আজাদ, সুধীর কৈর্বত দাস, রাশেদা আমিন, মো আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, মো হারুনুর রশিদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, হাবীবুল্লাহ রানা, আবু সাঈদ খান, নুরুল্লাহ খন্দকার তারেক।