সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব: এমপি প্রার্থী হওয়ার বয়স কমিয়ে ২১ করার সুপারিশ

সংবিধান সংস্কার কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের সুপারিশ পেশ করেছে। এতে এমপি প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্যান্য তিনটি কমিশনের সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনও তাদের সুপারিশ পেশ করে।

প্রস্তাবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একটি হবে নিম্নকক্ষ, যা জাতীয় সংসদ নামে পরিচিত হবে। অপরটি উচ্চকক্ষ বা সিনেট। উভয় কক্ষের মেয়াদ থাকবে চার বছর।

নিম্নকক্ষ গঠিত হবে সরাসরি নির্বাচিত সদস্যদের দিয়ে। এতে ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনে একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সদস্য থাকবে। এছাড়া ১০০ জন নারী সদস্য সারা দেশের সব জেলা থেকে নারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন।

রাজনৈতিক দলগুলো নিম্নকক্ষের মোট আসনের ১০ শতাংশে তরুণদের প্রার্থী করার প্রস্তাব করেছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বয়স কমিয়ে ২১ করার প্রস্তাবও এসেছে।

উচ্চকক্ষের প্রস্তাবে মোট ১০৫ জন সদস্যের সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ জন হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ভিত্তিতে নির্ধারিত। রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation-PR) পদ্ধতির মাধ্যমে ১০০ জন প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে। যার মধ্যে কমপক্ষে ৫ জন অনগ্রসর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করবে। বাকি ৫ আসন পূরণের জন্য রাষ্ট্রপতি নাগরিকদের মধ্য থেকে প্রার্থী মনোনীত করবেন, যারা কোনো কক্ষেরই সদস্য নন।

উচ্চকক্ষের স্পিকার সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হবেন এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হবেন সরকার দলীয় সদস্য ছাড়া অন্য সদস্যদের মধ্যে থেকে।