সদিচ্ছার অভাবে আটকা শিক্ষক নিয়োগ

সদিচ্ছার অভাবে আটকা শিক্ষক নিয়োগ

বেসরকারি নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সদিচ্ছার অভাবে ৫৪ হাজার শিক্ষকের নিয়োগের ফল প্রকাশ আটকে আছে বলে জানিয়েছেন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। তাদের অভিযোগ নিয়োগ কার্যক্রমে ২০০ কোটি টাকা আয় করেও নির্বিকার কর্তৃপক্ষ। ফলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ও আদালতের রায়ের পরও এনটিআরসিএর চত্বরেই ঘুরছেন ফল প্রত্যাশীরা।

এ বিষয়ে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক নিয়োগ ফোরামের সভাপতি শান্ত আহমেদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমরা নাকি শ্রমিকের মতো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আচরণ করেছি। আমরা বলেছি, আপনারা ২০০ কোটি টাকা আয় করলেন এরপরেও কেন আমাদের নিয়োগ দিচ্ছেন না, এর জবাবে তারা বলেন, আপনারা সরকারকে এসব বলেন।

নতুন চেয়ারম্যান সম্পর্কে তিনি অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেই কথা বলেন না নতুন চেয়ারম্যান। আমরাও যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেছি তিনি দেখা করেননি।

আন্দোলন ছাড়া দাবি আদায়ের উপায় নেই বলে মনে করেন শান্ত আহমেদ। তিনি বলেন, গত বুধবার এনটিআরসিএর কোনো এক কর্মকর্তার পদোন্নতি হওয়ায় সবাই ভুড়িভোজ করছে। আর আমরা যোগ্যতা অর্জন করে, আদালতের রায় থাকার পরও তাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছি। এনটিআরসিএ অফিসে আমাদেরকে ঢুকতেও দেয়া হয়নি। বিধিনিষেধ শেষ হলেও কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে এনটিআরসিএর আইনজীবীরা জানান, নিয়োগের সুপারিশ করতে এখন কোনো সমস্যা নেই। তবে কেন নিয়োগ আটকে আছে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তারা।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা জানান, রায়ের সার্টিফাইড কপি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ দেয়া নিয়ে সংশয় আছে।

ঊর্ধ্বতন আরেক কর্মকর্তা বলেন, সচিব মহোদয় আমাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে পরামর্শের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। উপমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে ফল প্রকাশ করা হবে।

এর আগে সোমবার সকালে এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার রুল খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার এনটিআরসিএর সচিব ড. এ টি এম. মাহবুব-উল করিম বলেন, বহুল কাঙ্ক্ষিত এ রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। আমাদের টেলিটকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আশা করছি, দুই একদিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে পারবো।

তবে ফল প্রকাশ এখনো হয়নি। এ ব্যাপারে এনটিআরসিএর নতুন চেয়ারম্যান ইনামুল কাদির খানের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।